সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার শান্তিপুর পৌর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে পৌর প্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পোস্টারিং দেখা গেল। শান্তিপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রশাসক শাহাজান শেখের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা নিয়ে। শান্তিপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আর্থিক দুর্নীতির এই অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে পোস্টারিং করা হয়।’ যদিও শাহাজান শেখ দাবী করেছেন, ‘তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন এসব করেছে অর্থাৎ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।


যদিও শান্তিপুরে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র। বিজেপি ঘটনার সাথে যুক্ত বলে তিনি দাবি করেছেন। অন্যদিকে বিজেপি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি, লোকসভায় ও বিধানসভায় বিজেপির ভালো ফলাফল হয়েছে। বিজেপি এইরকম দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়।


যার পোস্টারিং পড়েছে, সেই এলাকার পৌর প্রশাসক শাহাজান শেখ বলেন, 'আমার নামে এর আগেও এরকম প্রচুর পোস্টার পড়েছে। কিন্তু আমাকে মানুষ বরাবর সমর্থন করে এসেছেন। এই প্রথম না। আমি ১৯৯০ সাল থেকে এখানে কাউন্সিলর রয়েছি। লোকসভা, বিধানসভা ভোটের সময় থেকে আমার নামে দেখে এসেছি যে আমার নামে বারবার অনেকেই পোস্টার দিচ্ছেন। আমার নামে খারাপ কথা ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সেখান থেকেও আমি ফের জিতে আসি।'


 এই বিষয়ে শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মিত্র বলেন, 'আমাদের দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এটা পুরো ভুল খবর। কোনও ব্যক্তি বা কেউ এই কাজটি করছে। আমার কাছে খবর এসেছে আমাদের পুরসভায় ১০ জন ট্যাক্স কালেক্টর রয়েছেন। প্রত্যেকেই ২টো জায়াগা থেকে মাইনে পান। এটা কভীবে সম্ভব।'


বিজপির শান্তিপুর শহরের সভাপতি বিপ্লব কর বলেন,  'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সবারই জানা। গত বিধানসভা, লোকসভার সময়ও এরকম হয়েছে ওদের দলে। মানুষও এবার ধীরে ধীরে ওদেরকে বুঝে নেবে। বিধানসভা নির্বাচনে তার আন্দাজও মিলেছে। সামনেই শান্তিপুরের উপ নির্বাচনেও তৃণমূল ফের একবার খারাপ ফল করবে।'