মনোজ বন্দ্য়োপাধ্যায় দুর্গাপুর: আবারও ভুয়ো পরিচয়ের ব্যক্তিতে আটক করল দুর্গাপুর পুলিশ। গাড়িতে 'ন্যাশনাল আ্যন্টি ক্রাইম' লিখে দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। গাড়িসহ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের কাছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কলকাতার বাসিন্দা।
শনিবার ওই ব্যক্তিকে সিটি সেন্টারের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গাপুরে বেশ কিছুদিন ধরেই 'ন্যাশনাল আ্যন্টি ক্রাইম' লেখা একটি চার চাকা গাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছিল। জানা গিয়েছে, কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সরকার ওরফে গৌতম সরকার। শনিবার তার গাড়ি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের মহকুমা আদালত চত্বর থেকে গাড়িসহ গ্রেফতার করা হয় ইন্দ্রজিৎ সরকারকে। এরপর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
ঘটনায় অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। ইন্দ্রজিৎ সরকারের দাবি, আদালতের নির্দেশেই পুলিশের সঙ্গে একইভাবে অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে কাজ করছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতার বাসিন্দা এই ব্যক্তি দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্ভূক্ত বিধাননগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
উল্লেখ্য অভিযুক্তের কথায়, পুলিশের সঙ্গেই সমানতালে অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে কাজ করেন ওই ব্যক্তি, তাই গাড়িতে এমন লেখা। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। ওই ব্যাক্তিকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে। পাশাপাশি আগামিকাল অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে।
কসবায় ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের পরপরই রাজ্যজুড়ে একাধিক ভুয়ো পরিচয়ের ব্যক্তির হদিশ মিলেছে। দফায় দফায় তাঁদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ২ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে নিউটাউন থানার পুলিশ নারকেলবাগান এলাকায় একটি ইনোভা গাড়িকে সন্দেহের বশেই দাঁড় করান কর্তব্যরত অফিসাররা। তাতেই কেল্লাফতে। হাতেনাতে পাকড়াও হয় ৪ ভুয়ো আধিকারিক।
পুলিশ জানায়, গাড়ি নিউটাউনের নারকেল বাগানের সামনে থেকে যাচ্ছিল। ভেতরে চারজন বসেছিলেন। নিউটাউন থানার অফিসাররা সেই সময় সেখানে ডিউটি করছিলেন। গাড়িটিকে দাঁড় করান তাঁরা। গাড়ির সামনের বোর্ডে লাগানো ছিল চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল। কাচেও লাগানো ছিল একই স্টিকার। নীলবাতি লাগানোর জায়গা ছিল। কিন্তু খোলা ছিল। ড্যাশবোর্ডের ওপর একাধিক সংগঠনের ব্যাজ রাখা ছিল।
তারক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে। কিন্তু, আইকার্ড বা নথি দেখাতে পারেননি। সঙ্গী মদন ও রাজকুমার জানান, তাঁরা সংগঠনের সদস্য। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় গাড়ির চার আরোহীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পরে চারজনকেই মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।