সুনীত হালদার, ডোমজুড়:  বুধবার বিকেলে ফোনে এসেছিল দুঃসংবাদ। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে খাট-ফুল নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় ছেলে। কিন্তু প্রথমে ডেথ সার্টিফিকেট ও পরে মৃতদেহ হস্তান্তর হতেই চমকে ওঠেন শোকবিহ্বল পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, বাবার বদলে অন্য এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেওয়া হয় তাঁদের। পরে আইসিইউ-তে গিয়ে জানতে পারেন এখনও বেঁচে আছেন ওই ব্যক্তি।


হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা ৫২ বছরের উদয়শঙ্কর চোঙদার দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তাঁকে লেকটাউনের ড্যাফোডিল হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি, বুধবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ফোন করে উদয়শঙ্করের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছলে প্রথমে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাঁদের। সেখানে নাম-বয়স ঠিক লেখা থাকলেও কিডনির সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। রোগীর ছেলে শশাঙ্ক চোঙদার বলেন, ফোন করে বলেছিল বাবা মারা গিয়েছেন। সেটা শুনে হাসপাতালে এসেছি। ICU-তে গিয়ে দেখলাম এখনও বাবা বেঁচে আছেন। অথচ ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে।


ডেথ সার্টিফিকেট দেখেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। কার্যত জোর করেই তাঁরা আইসিইউ-তে যেতে চান। সেখানে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। যে বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হল। সেই বাবা বসে রয়েছেন আইসিইউ বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। অর্থাৎ বেঁচেই রয়েছেন তিনি। এরপরে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ হাসপাতালে গাফিলতির জন্য এই ঘটনা।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওই ডেথ সার্টিফিকেট রোগীর পরিবার থেকে চেয়ে নেয়। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ নিউরো চিকিৎসার পরিবর্তে কিডনি রোগের চিকিৎসা ওখানে হয়। ওই হাসপাতলে ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। রোগীর প্রতিবেশী সুরজিৎ হাজরা বলেন, হাসপাতালের তরফে ওই ডেথ সার্টিফিটেক ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ভুল স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। লেকটাউনের ড্যাফোডিল হাসপাতালের সিইও দীপঙ্কর শতপথী বলেন, ফোন করতে গিয়ে একটা ভুল হয়েছে। ভুল স্বীকার করছি। কেন এটা হল সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।