করুণাময় সিংহ,মালদা : এটিএম প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা হারালেন এক সরকারি কর্মী। বুধবার এই মর্মে মালদা সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই সরকারি কর্মী।


জানা গেছে, ওই সরকারি কর্মীর নাম মোজাম্মেল হক। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কমলাবাড়ী এলাকায়। চলতি মাসের ৪ জুলাই রাত্রে তার মোবাইল নাম্বারে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয় তাঁর এটিএম বন্ধ হয়ে গেছে। এর জন্য এখনই এটিএমের নাম্বার লাগবে। কিছু না ভেবে এটিএমের নাম্বার বলে ফেলেন ওই সরকারি কর্মী।


এরপরই ওই সরকারি কর্মী দেখেন তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০,১৪৯ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। পরের দিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বুধবার ওই সরকারি কর্মী আবার মালদা সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, কোথা থেকে কিভাবে টাকা তোলা হলো তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। নেওয়া হচ্ছে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য।


উল্লেখ্য, এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা নতুন নয়। কোনও ফোন বা এসএমএসে বিশ্বাস করে, কাউকে এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড বলবেন না। সম্প্রতি প্রতিটি ব্যাঙ্ক থেকেই গ্রাহকদের কাছে এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, সেই ফাঁদে পা দিয়েই কিছুদিন আগে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন নিউটাউনের চিনার পার্কের বাসিন্দা লাল্টু গাজি। অভিযোগ, একদিন সকালে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার এটিএম কার্ডে একটি সমস্যা হয়েছে। তাই তাঁকে একটি নতুন এটিএম কার্ড দেওয়া হবে। এরপরই ওই ব্যক্তি এটিএমের পাসওয়ার্ড জানতে চান। লাল্টুও সঙ্গে সঙ্গে তা বলে দেন। লাল্টুর দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে জানিয়ে, মোবাইলে একের পর এক এসএমএস আসতে শুরু করে।


লাল্টু গাজি নিউটাউন থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। সেখানেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। লাল্টুর অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে।