কলকাতা: হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।   তাঁর বিরুদ্ধে ৫টি এফআইআর খারিজের আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশে রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু।  হাইকোর্টের নির্দেশ,  ‘শুভেন্দুকে কোনও মামলাতেই গ্রেফতার করা যাবে না।  আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলাতে কড়া পদক্ষেপ  করতে পারবে না পুলিশ। 


হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় তদন্ত চলবে। শুভেন্দু অধিকারী তদন্তে  সহযোগিতা করবেন। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করে পুলিশ, তাহলে শুভেন্দুর সুবিধামত জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।


আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মানিকতলায় দায়ের চাকরির নামে প্রতারণার মামলাতেও তদন্ত চলবে। হাইকোর্ট বলেছে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অন্য তিনটি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। 


শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মন্তব্য করেন,  ‘আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে হয়রানি করার জন্যও গ্রেফতার করা হয়। যদিও অনেক সময় হয়রানির উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রেফতার করা হয় না। পুলিশ ভাবে যে এখন গ্রেফতার করি, তথ্য প্রমাণ পরে খুঁজব। আবার কিছু একটা করেছি এটা দেখানোর জন্যও গ্রেফতার করা হয়। 
‘শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়নি তো ?’ প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির।
রাজ্যকে  বিচারপতি রাজশেখর মান্থার প্রশ্ন , প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় ‘মৃতের স্ত্রী হঠাৎ করে ৩ বছর পর জেগে উঠলেন কেন ?৩ বছর পর তাঁর কেন মনে হল যে তাঁর স্বামী খুন হয়েছেন ? 


আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল তাঁর সওয়ালে বলেন, শুভেন্দু কেন তদন্ত আটকানোর চেষ্টা করছেন ? সব ক্ষেত্রে তো তিনি মূল অভিযুক্ত নন।তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হচ্ছে। তাঁর উচিত তদন্তে সাহায্য করা। তিনি কেন ভাবছেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে ?’


অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি,  ‘আপনি কি বলতে চাইছেন ঠাকুরঘরে কে ? এই প্রশ্নই আপনারা করছেন ?’


আদালত নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলা,  তমলুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার মামলা ও  পাঁশকুড়ায় সোনার হার ছিনতাইয়ের মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।


উল্লেখ্য,  নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ  সকাল ১১টায় শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হয়েছিল ভবানী ভবনে। কিন্তু তিনি ভবানী ভবনে যাননি। দিনভর টানা কর্মসূচি থাকার কারণেই সিআইডি-র দফতরে যাচ্ছেন না তিনি, সোমবার ইমেল মারফত এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।