তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরে এবার 'দুয়ারে বিধায়ক'। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য। সেই কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলে যোগদান করে সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে গেলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।


তৃণমূলে এসেই কিস্তিমাত তন্ময় ঘোষের। মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই মূল লক্ষ্য, দল পরিবর্তনের পর এমনটাই মন্তব্য করেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে ফিরেছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। আর তৃণমূলে ফিরেই তিনি পৌঁছে গেলেন এলাকার সাধারণ মানুষের দরজায়। রবিবার বিকেলে তন্ময় ঘোষ বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবগঞ্জ, মুচিপাড়া, বাউরি পাড়া, ঘোষপাড়া সহ একাধিক এলাকায় পৌঁছে গেলেন মানুষের দরজায় দরজায়। 


অন্যদিকে বিধায়ককে নিজেদের দুয়ারে পেয়ে বিষ্ণুপুরবাসীর মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এলাকার বেশ কিছু মানুষের খারাপ অবস্থাও চোখে পড়ে বিধায়কের। তাঁদের প্রত্যেককে বিধায়ক আশ্বাস দেন যে সকলকে সব সমস্যা থেকে মুক্তি দেবেন তিনি। 


আরও পড়ুন: নকল সিমেন্ট কারখানার হদিশ উত্তর ২৪ পরগনা, গ্রেফতার মালিক


বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাকে আমি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।' তিনি এ কথাও স্বীকার করে নেন যে এলাকায় কিছু ছোটখাটো সমস্যা এখনও রয়েছে। তবে সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করবেন তিনি, আশ্বাস দেন বিধায়ক।


যদিও বিধায়ক তন্ময় ঘোষের এই কর্মসূচিকে ভাঁওতাবাজি বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডল সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, 'বিধায়কের ক্ষমতা থাকলে বিজেপির দেওয়া এমএলএ পদ থেকে পদত্যাগ করে ফের নির্বাচনে জিতে এসব করুন।'


তাঁর বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেসও। তন্ময় ঘোষের এই কর্মসূচিকে 'দুয়ারে বিশ্বাসঘাতক' বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস শিবির। এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তন্ময় ঘোষ বিষ্ণুপুরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।'