সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: গত কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিম্নচাপের কারণে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছিল। এরফলে মাঠে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। ব্যতিক্রম নয় উত্তর ২৪ পরগনাও। অন্যান্য জেলার মতো এখানেও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের দাবি, মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। বিপুল ক্ষতির মুখে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
নিম্নচাপের জেরে টানা দু’দিন মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে জল জমে গিয়েছে চাষের খেতে। কোথাও কোথাও কার্যত জলাশয়ের আকার নিয়েছে চাষের জমি। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। চাষিদের দাবি, জমা জলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল।
একই করোনার জেরে রুটিরুজিতে টান পড়েছে। তার ওপর এই লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির বহর কীভাবে সামলাবেন, তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাঁদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে বাঁচাতে পারে একমাত্র সরকারি সাহায্য।জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ার উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গায় ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টি থেমেছে তিন দিন আগে।কিন্তু, রবিবারও জলবন্দি দশা।জল থইথই উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা। আর এই জলের মধ্যেই কাজ করছেন উর্দিধারীরা। তিন দিন ধরে জমে রয়েছে। ইঁটে পা দিয়ে সেই জল পেরিয়ে যেতে হচ্ছে। একই ছবি পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এইচবি টাউন এলাকাতেও।জলমগ্ন আবাসনের গ্রাউন্ড ফ্লোর।রাস্তা যেন পানিপথ।জল ঢোকায় দোকান চালাতে চরম সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পূর্ব পানিহাটির তীর্থভারতী, উত্তর-দক্ষিণ সুভাষনগর, পল্লিশ্রী-সহ বিভিন্ন এলাকাতেও জলছবি।তিন দিন ধরে জল যন্ত্রণা সহ্য করা এলাকাবাসীদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে পুরসভার ওপরে। আর পুরকর্তৃপক্ষের সাফাই, সমস্যার মূলে অতি বৃষ্টি।তিতিবিরক্ত বাসিন্দাদের দাবি, দায় না ঝেড়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। তাহলে আর বছর-বছর এই নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না।