সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্বাধীনতা দিবসের পর বড়সড় অভিযোগ রাজ্যের এক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। গাইঘাটার বাগনা এফ পি স্কুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। সূর্যাস্তের পর জাতীয় পতাকা নামাতেই ভুলে যান স্কুলের শিক্ষকরা, এমনটাই অভিযোগ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই মধ্যরাত পর্যন্ত স্কুলে তোলা রয়েছে জাতীয় পতাকা, স্কুলের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননার এমনই অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে গাইঘাটার বাগনা এফ পি স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় পতাকা নামানোর নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত উত্তোলন করা রয়েছে জাতীয় পতাকা। যা দেখে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।
সেই খবর জানাজানি হতেই পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলের ছুটে আসেন শিক্ষকবন্ধু প্রণব কুমার দত্ত। তড়িঘড়ি পতাকা নামাতে গিয়ে পতাকা না নামিয়ে গোটা বাঁশটাকেই খুলে ফেলেন তিনি। এই ঘটনায় বিতর্ক আরও বাড়ে। খবর সংগ্রহ করতে ততক্ষণে স্কুলে পৌঁছন চিত্র সাংবাদিকরাও। কিন্তু তাঁদেরকেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
যদিও ক্যামেরার সামনে জাতীয় পতাকার অবমাননার কথা স্বীকার নিয়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ দোষ প্রধান শিক্ষকের উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকবন্ধু জানান যে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে এটা ঠিক। প্রধান শিক্ষক তাঁকে প্রতিবারই বলে দেন। কিন্তু এ বছর উনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁকে ফোনে বলে দিলেও জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিতে ভুল হয় তাঁর।
জাতীয় পতাকা তোলার ক্ষেত্রে সে সকল নিয়ম মানতেই হবে তা হল- সূর্যাস্তের পর পতাকা তুলে রাখা যায় না। সরকারি কোনও নির্দেশ না থাকলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখতে নেই। জাতীয় পতাকা এমনভাবে তুলে রাখা উচিত যাতে ওড়ার সময় তা জমির ময়লা, কাদাজল স্পর্শ না করে।
আমাদের জাতীয় পতাকা দেশের সম্মানের প্রতীক। কেউ প্রকাশ্যে বা যেকোনও স্থানে পতাকা পোড়ালে, পদদলিত বা নষ্ট করলে তা আইনত অপরাধ হিসাবে গণ্যহবে। এখানেই শেষ নয়, কোনও ব্যক্তি জাতীয় পতাকাকে লিখিত বা মোখিকভাবে অসম্মান করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।