ক্যুইন অফ হিলসে বেড়াতে যেতে হলে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের শংসাপত্র কিংবা RTPCR টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। তবে সেই রিপোর্ট ৩ দিনের বেশি পুরনো হওয়া চলবে না। ট্যুর অপারেটর ও গাড়ি চালকদের অভিযোগ, ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট এবং RTPCR টেস্ট রিপোর্ট - দুটি জায়গাতেই আটকে যাচ্ছেন অনেক পর্যটক। ক্ষতি হচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতির। তবুও দার্জিলিং মানেই আকর্ষণ, চুম্বক টান। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়ে অনেক পর্যটকই ভিড় জমাচ্ছেন দার্জিলিঙে। এরই মধ্যে স্বাধীনতা দিবসেই এল সুখবর। আবার শোনা যাবে সেই ম্যাজিক হুইসল্।
সোমবার থেকেই পাহাড়ে শুরু হচ্ছে টয়ট্রেনের জয়রাইড। ঘুম থেকে দার্জিলিং এবং দার্জিলিং থেকে ঘুম - সারা দিনে মোট ৬টি টয়ট্রেন চলবে। ৬টি টয়ট্রেনের মধ্যে ৪টি স্টিম ইঞ্জিন চালিত। ২টি চলে ডিজেল ইঞ্জিনে।
পর্যটক ও শিলিগুড়ির বাসিন্দা দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ' এই শান্তির জায়গাটা কোভিডে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা খুবই দুঃখিত হয়ে পড়েছিলাম । আজ শুনছি আবার টয়ট্রেন চালু হবে। মানুষ আবার আসবে কার্শিয়ং, দার্জিলিঙে।'
পর্যটক ও লখনউয়ের বাসিন্দা অনুরোধ কুমার বলেন, 'এখানকার মূল সৌন্দর্য্য টয়ট্রেন। প্রকৃতির মধ্যে দিয়ে সফর। চালু হলে খুব খুশি হব। ফোর হুইলারে কী আর সেই মজা হয়?' দার্জিলিং শহর থেকে দেশের সবচেয়ে উঁচু রেলস্টেশন ঘুমের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার।
দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে খবর, ডিজেল জয়রাইডে যাত্রী পিছু ভাড়া ১০০০ টাকা। স্টিম জয়রাইডে প্রতিজনের টিকিট দেড় হাজার টাকা। ভিস্তা ডোম ফার্স্ট ক্লাসে যাত্রী পিছু ভাড়া ১৬০০ টাকা। ৬টি টয়ট্রেনের টাইম টেবিলও প্রকাশ করেছে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে। টয়ট্রেনের রুটে যাঁদের রুটি-রুজি, রেলের ঘোষণায় তাঁরা দারুণ খুশি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই পাহাড়ে থমকে গিয়েছিল টয়ট্রেনের চাকা। দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, কোভিড প্রোটোকল মেনেই টয়ট্রেনের জয়রাইড চলবে। যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মেনে চলা হবে দূরত্ববিধিও।