সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: রানাঘাটের পর ব্যারাকপুর। ফের আসল দেখিয়ে নকল স্বর্ণমুদ্রা বিক্রির নামে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। 


তৃণমূল নেতার পর এবার প্রতারণার ফাঁদে মহিলা জ্যোতিষী। তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, বীরভূমে বসে ছড়ানো হয়েছিল প্রতারণার জাল। 


ব্যারাকপুর সদর বাজারের বাসিন্দা মহিলা জ্যোতিষীর দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বাড়িতে কাজে আসা রাজমিস্ত্রি ৮ লক্ষ টাকা ধার চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি।


জ্যোতিষীর অভিযোগ, এরপরই একটি স্বর্ণমুদ্রা দেখিয়ে অন্য গল্প ফাঁদে ওই রাজমিস্ত্রি। তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গেলে মাটি খুঁড়ে এসব স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পায় তারা। 


এরপরই তারাপীঠে এসে জ্যোতিষীকে স্বর্ণমুদ্রা কেনার প্রস্তাব দেয় ওই রাজমিস্ত্রি। সেই মতো একদিন তাঁকে একটি কয়েন দেখানো হয়। সেই কয়েন জ্যোতিষী কলকাতায় এসে পরীক্ষা করে দেখেন যে কয়েনটি সোনার।


অভিযোগ, এরপর আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে জ্যোতিষী আড়াইশোটি স্বর্ণমুদ্রা কেনেন। পরে জানতে পারেন সেগুলি আসলে সোনা নয় পেতলের। 


এরপরই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের দারস্থ হন তিনি। স্বাতীলেখা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই জ্যোতিষী বলেন,  প্রথমে বুঝতে পারিনি প্রতারিত হয়েছি। পরে, অভিযোগ জানিয়েছি। 


অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার জাল ছড়িয়ে পড়েছিল মালদাতেও। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, মোট ৫ জন গ্রেফতার করেছি। মালদার ঘটনায় ৩ জনকে সাঁইথিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। আবার ব্যারাকপুরের ঘটনায় ২ জনকে শান্তিনিকেতন থেকে গ্রেফতার করা হয়। আরও অনেকের অভিযোগ পেয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতন করছি, লিফলেট, মোবাইল নম্বর দিচ্ছি। 


কয়েকদিন আগে এভাবেই স্বর্ণমুদ্রা কেনার ফাঁদে পড়ে ১২ লক্ষ টাকা হারানোর অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা ও রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর শঙ্কর অধিকারী। 


তাঁর দাবি, মাসখানেক আগে লাভপুরের বাসিন্দা পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে আসে। তৃণমূল নেতাকে সস্তায় একটি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। 


অভিযোগ, গত মঙ্গলবার এক সঙ্গীকে নিয়ে ফের তৃণমূল নেতার বাড়িতে হাজির হয় ওই ব্যক্তি। জানায়, মাটি খুঁড়ে মিলেছে আরও স্বর্ণমুদ্রা। এরপর ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে নগদ ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে, নথি ফোটোকপি করার কথা বলে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।