সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ভুয়ো IAS  দেবাঞ্জন দেব থেকে ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্য। ভুয়ো CBI-এর আইনজীবী সনাতন রায়চৌধুরী থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ কর্তা...একের পর এক ভুয়োরা এখন শিরোনামে। প্রতিদিন এদের কুকীর্তির কথা শুনতে শুনতে আতঙ্কিত মানুষ। চারিদিকে ছড়িয়ে প্রতারণার জাল। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ব্যক্তির এভাবে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে আর মানুষ বেবাক বনে গেছে। কীভাবে সরকারের নানা নথিও নিখুঁত ভাবে জাল করে এরা মানুষকে ঠকানোর কাজে ব্যবহার করেছে।  এই প্রেক্ষাপটে ঠকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অভিনব উপায় অবলম্বন করল বারাসাত জেলা আদালত। কোর্টের অনুমোদিত ল-ক্লার্ক বা মুহুরিদের চিহ্নিত করতে, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করা হল। 


এর আগে বারাসাত আদালত চত্বরে মুহুরির ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে অনেকবার। বারাসাত জেলা আদালতের ল-ক্লার্ক মহম্মদ সদরউদ্দিন জানালেন, '' লাইসেন্সপ্রাপ্ত মুহুরিদের পরিচয় পেলে আমাদের চিনতে মানুষের সুবিধা হবে! ঠকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচবে মানুষ' 


সোমবার থেকেই নীল শার্ট ও ব্যাজ পরে কাজ শুরু করেন ৩৭৫ জন ল ক্লার্ক। ওয়েস্ট বেঙ্গল ল কার্ক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শঙ্কর সরকার জানালেন, '' অনেক বাইরের লোক আদালতে ঢোকে, বিচারপ্রার্থীকে প্রতারণা করে, আমাদের বদনাম পোহাতে হয়, প্রতিরোধ করতে তাদের আইডেনটিফিকেশন করা হল''
 
আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, নিজেদের মুহুরি পরিচয় দিয়ে একশ্রেণির প্রতারক বিচারপ্রার্থীদের ঠকান। এবার ল ক্লার্কদের ইউনিফর্ম চলে আসায়, ছবিটা বদলাবে বলে আশা আইনজীবীদের।


সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু জানালেন, '' খুব ভাল বার্তা, ভাল দিক । এরপর অন্তত দালালের প্রভাব কমবে।  অনেক সময় কোনও লোক এসে নিজেদের মুহুরি বলে পরিচয় দেয়, যারা অনুমোদিত নয়, তাদের চিনতে সুবিধা হবে সাধারণের'' 
 
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রথম কোনও আদালতে ল ক্লার্কদের ইউনিফর্ম দেওয়া হল। মুহুরিদের সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বিধাননগর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমা আদালতে ল ক্লার্কদের ধাপে ধাপে দেওয়া হবে ইউনিফর্ম।