সমীরণ পাল, গাইঘাটা: অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক মহিলাকে হেফাজতে থাকাকালীন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক বিএসএফ জওয়ান।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার খড়ের মাঠ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুই মহিলাকে ভারতে আটক করে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।
অভিযোগ, বিএসএফের হেফাজতে থাকাকালীন সেখানেই দুই মহিলার একজনকে শ্লীলতাহানি ও অন্যজনকে ধর্ষণ করেন কর্তব্যরত বিএসএফের এসআই রমেশ্বর কয়াল। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত এসআই রমেশ্বর কয়ালকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
নির্যাতিতা মহিলা ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বান্ধবী মিলে এক দালালের সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশের ফেরার জন্য খড়ের মাঠ এলাকায় এসেছিলেন।
বিএসএফ তাঁদের আটক করে। পরবর্তীকালে বিএসএফের হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে ধর্ষণ করে ওই অভিযুক্ত জওয়ান। এই দুই বাংলাদেশি মহিলা গুজরাতে শাড়ির কাজ করেন বলে জানিয়েছেন।
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের কারণে দুই মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান রমেশ্বর কয়াল ও অবৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য উদ্যত হওয়া দুই মহিলাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই বিষয়ে বিএসএফের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জাল আধার ও ভোটার কার্ড তৈরির অভিযোগে বারাসাত থেকে ধৃত ২ ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা ব্যক্তিদেরই টার্গেট করা হত। অভিযোগ, নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার নামে তুলে দেওয়া হত নকল আধার ও ভোটার কার্ড।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি সমরেশ দে ও তাঁর সহযোগীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করল বারাসাত থানার পুলিশ। প্রচুর জাল আধার, ভোটার কার্ড ও নকল স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বারাসাত থানা সূত্রে খবর, ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, বারাসাত স্টেশন রোডের একটি প্রিন্টিং ও জেরক্সের দোকান থেকেই নকল কার্ডগুলি ছাপানোর কাজ চলত। গ্রেফতার করা হয় শান্তনু মণ্ডল নামে ওই দোকানের মালিককেও। সিল করে দেওয়া হয় দোকানটি।