কলকাতা: মেঘলা আকাশ, সকাল থেকে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়াতেও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। মোট ৬টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


আজ ও কাল দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হুগলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এই ৬টি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কলকাতায় বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।


কলকাতা থেকে জেলা, রাতভর বৃষ্টি। জলমগ্ন বেশ কিছু এলাকা। লাগাতার বৃষ্টিতে জল জমেছে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, এম জি রোডে। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর গ্রাম। গতকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে গ্রামের প্রায় সমস্ত বাড়িতে জল ঢুকেছে। বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে আজ সকালে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। আটকে পড়ে বাস-লরি-ট্রাক। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। পুলিশের হস্তক্ষেপে মিনিট চল্লিশ পর অবরোধ ওঠে। 


খড়গপুর শহরের কৌশল্যা মোড়, পুরাতন বাজার, আনন্দনগর, মালঞ্চ, ঝুলি, মিরপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। কোথাও বাড়ি ও দোকানে জল ঢুকেছে। মেদিনীপুর পুরসভার পালবাড়ি এলাকায় বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে যাওয়ায় নাকাল বাসিন্দারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, নারায়ণগড়, দাঁতন-সহ একাধিক এলাকায় জল জমেছে। সকালেও বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাঘাট ফাঁকা। বৃষ্টিতে জলমগ্ন নন্দীগ্রাম। হলদিয়া টাউনশিপের একাধিক বাড়ি ও আবাসনে জল ঢুকেছে। জলে ডুবেছে রাস্তাঘাটও। রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন তমলুক জেলা হাসপাতালও। 


দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ-সহ বেশ কিছু এলাকায় জল জমেছে। গৃহবন্দি স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানপাট বন্ধ। সুন্দরবন উপকূলে নদী ও সমুদ্র বাঁধে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। জলমগ্ন ক্যানিং মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। সরকারি অফিস, বাজার সর্বত্র জল জমেছে।