সমীরণ পাল, হাড়োয়া(উত্তর ২৪ পরগনা): কিছুদিন আগে শিয়ালের কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনা হাড়োয়া থানার অন্তর্গত বিস্তীর্ণ গ্রামের মানুষ। আর এবার সারমেয়র আক্রমণে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের।
এক জোড়া পাগলা কুকুরের কামড়ে প্রায় ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। কুকুরের আক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহর থেকে গ্রামে।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শীঘ্র বন দফতর এসে দুটি পাগলা কুকুরকে ধরে নিয়ে যাক। তা নাহলে আর যে কত মানুষকে আক্রান্ত হতে হবে, তার ঠিকানা নেই।
রবিবার ছুটির দিন থাকায় কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। আজ সকালে আক্রান্তরা সকলেই ভ্যাকসিন নিয়ে আসেন। এমনটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
হাড়োয়া থানার হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাখাল পল্লী সহ আশপাশে আটঘরা পিলখানা পাইকপাড়া ও হাড়োয়া শহরে মোট ৪০ জনের বেশি মানুষকে সারমেয় কামড় দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে রবিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত হাড়োয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় মোট ৪০ জন মানুষকে এই পাগল সারমেয় দুটি কামড় দিয়েছে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শিশু থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবনিতা--আক্রান্তদের তালিকায় কেউ বাদ নেই। আক্রান্তদের হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
যাঁদের পাগলা কুকুরে কামড়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁরা হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেভাবে দুটি পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, যে দুটি পাগল সারমেয় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের ধরা যাচ্ছে না।
যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গোটা এলাকাবাসী। এখন তাঁরা বন দফতরকে অনুরোধ করেছেন, যাতে তারা এসে ওই সারমেয় দুটিতে ধরে নিয়ে যায়।
হাড়োয়া তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জু বিশ্বাস জানান. বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।