সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পগুলোতে গণ্ডগোল ও ভিড় এড়াতে স্লিপ দেওয়া শুরু করেছে ইসলামপুর পুরসভা। দৈনিক ১৫০ জনকে দেওয়া হচ্ছে স্লিপ। পুর প্রশাসকের দাবি, এর ফলে ভ্যাকসিনের লাইনে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যাবে। পুর-উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।
মৃত্যুদূতের মতো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে করোনার থার্ড ওয়েভের আতঙ্ক। ভ্যাকসিন নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। অথচ ভ্যাকসিনেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে বহু মানুষের।
কখনও ভ্যাকসিনের দাবিতে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কখনও ভ্যাকসিনের লাইনে ধুন্ধুমারকাণ্ডে মাথা ফাটছে যুবকের।
গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাকসিন নিয়ে ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে গণ্ডগোলের চিত্র ধরা পড়েছে। এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। রামগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা ভ্যাকসিন নিতে এসে মাথা ফেটে আহতও হন। উত্তর দিনাজপুরে গত কয়েকদিন ভ্যাকসিনের লাইনে একের পর এক এমন ঘটনা ঘটেছে।
এবার ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পগুলোতে গণ্ডগোল এড়াতে উদ্যোগী হলেন খোদ ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের হেনস্থা এড়াতে পুরসভার তরফে দৈনিক ১৫০ জনকে নিজের হাতে সই করে স্লিপ দিচ্ছেন তিনি। পুর প্রশাসকের দাবি, এর ফলে ভ্যাকসিনের লাইনে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যাবে।
কানাইয়ালাল বলেন, ভ্যাকসিন কেন্দ্রে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় তার জন্য আমরা প্রতিদিন ১৫০ জনকে স্লিপ দিচ্ছি। এতে সমস্যা মিটবে বলেই ধারণা।
পুরপ্রশাসকের উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামপুর পুরসভা। এতে মানুষের ভ্যাকসিন নিতে এসে হয়রানিও কমবে। মানুষ ঠিকমতো ভ্যাকসিনও নিতে পারবে। এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে ধন্যবাদ।
কো-উইনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দশ শতাংশের মত মানুষের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে। আর রাজ্যে ১৮-ঊর্ধ্ব ৭ কোটি মানুষের মধ্যে দুটি ডোজ ভ্যাকসিনেশন পেয়েছেন ১২ শতাংশ মানুষ। এখন দেখার, কত দ্রুত দেশের মানুষের সার্বিক টিকাকরণ সম্পন্ন করায় যায়।