সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: মাদক উদ্ধারে ফের বড়সড় সাফল্য পেল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। চা-বোঝাই লরি থেকে উদ্ধার করা হল ৩০৮ কিলোগ্রাম গাঁজা, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা।
লরির চালক ও খালাসি পলাতক। গাঁজা সহ চা-বোঝাই লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
একদিন আগেই একটি বেসরকারি নাইট সার্ভিস বাস থেকে ২৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। একজনকে গ্রেফতারও করা হয় ওই ঘটনায়। ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই ফের মাদক-বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল রায়গঞ্জ পুলিশ।
শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ রায়গঞ্জ থানার বারোদুয়ারি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই লরি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে।
রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই জেলায় মাদক পাচার সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই জন্য রায়গঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে জোরদার নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অসম থেকে কলকাতায় যাচ্ছিল চা বোঝাই লরিটি। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় যে, একটি চা বোঝাই লরির ভেতরে গাঁজা পাচার হচ্ছে। রায়গঞ্জ থানার বারোদুয়ারি এলাকায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘিরে ফেলে লরিটিকে।
পুলিশ ঘিরে ফেলার আগেই লরি থেকে নেমে পালিয়ে যায় চালক ও খালাসি। চা বোঝাই লরি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০৮ কেজি গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। গাঁজা সহ লরিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে সাফল্য পায় মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশও। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় মাদক, গ্রেফতার করা হয় ২ পাচারকারীকে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে ইংরেজবাজারের কানির মোড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও করে দুই যুবককে।
শিলিগুড়ির বাসিন্দা ওই মাদক পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ৩০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, যার বাজারমূল্য আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা।
কোথা থেকে মাদক আনা হয়েছিল, কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, এই চক্রে আর কারা জড়িত, খতিয়ে দেখছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।