সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: গৃহবধূকে মারধর করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নরম কলোনি গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম মিনতি দাস (২৫)। ঘটনায় স্বামী স্বাধন দাস ও শ্বাশুড়ি মমতা দাসকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে রায়গঞ্জ থানার বিমল দাসের মেয়ে মিনতি দাসের সঙ্গে মালদা জেলার চাঁচল এলাকার বাকিপুর গ্রামের বাসিন্দা গনপতি দাসের ছেলে স্বাধন দাসের বিয়ে হয়।
বিয়ের দেড় বছর যেতে না যেতেই ১ লক্ষ টাকা পণের দাবিতে মিনতির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে স্বামী সাধন সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
এমনকি মিনতিকে তাঁর বাবার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে ৷ গৃহবধূ ওই টাকা না আনতে পারায় তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার ও মারধর চালাত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেরা বলে অভিযোগ।
গত একমাস ধরে মিনতি তাঁর বাপের বাড়িতেই থাকতেন। ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গত পরশু স্বামী স্বাধন দাস, ভাসুর সদো দাস ও জা এসে মিনতিকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ।
মিনতির চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। গ্রামবাসীদের আসতে দেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মিনতীর স্বামী সাধন দাস সহ অন্যান্যরা।
গুরুতর জখম অবস্থায় মিনতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে চাঁচল থেকে স্বামী সাধন দাস সহ মিনতির শ্বশুরবাড়ি লোকেরা রায়গঞ্জের নরম কলোনী গ্রামে এসে পৌঁছালে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়িকে মারধর করেন মৃতার মা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে স্বামী স্বাধন দাস ও শ্বাশুড়ি মমতা দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় মিনতির বাবা বিমল দাস তাঁর জামাই সাধন দাস সহ শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।