ঝাঁঝে ভাবছেন সরষের তেল, আসলে খাচ্ছেন কেমিক্যাল বিষ! নদিরার শান্তিপুরে এমনই ভেজাল সরষের তেলের কারবার ফাঁস করল সিআইডি। হদিশ মিলেছে ভেজাল তেল তৈরির আস্ত কারখানারও। তৈরি হচ্ছে ভেজাল মিশিয়ে! অথচ উপরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বড় বড় ব্র্যান্ডের নাম! আপনি দেখেই আহ্লাদিত হয়ে কিনছেন, কিন্তু তাতেই হয়ত রয়েছে ভেজাল!
কীভাবে তৈরি হত ভেজাল সরষের তেল? সিআইডি সূত্রে খবর, হলদিয়া এবং বজবজ থেকে ট্যাঙ্কারে করে পাম তেল আনা হত।
তারপর বাইরে থেকে কিনে মজুত করা হত নামী-দামি কোম্পানির তেলের টিন।
এরপর শুরু মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা! সিআইডি সূত্রে খবর,
ব্র্যান্ডেড কোম্পানির টিনে অর্ধেক পাম তেল ভরা হত। তারপর মেশানো হত, খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া নিম্নমানের সরষের তেল।
কিন্তু, ভেজাল হলে তো আর ঝাঁঝ থাকবে না। তাই ঝাঁঝ আনতে মেশানো হত রাসায়নিক!
এরপর টিনের মুখ সিল করে দেওয়া হত। যা দেখতে হুবহু ব্র্যান্ডেড সরষের তেলের মতো। সিআইডি সূত্রে দাবি, এই ভাবে প্রায় ২০ বছর ধরে ভেজাল তেলের ব্যবসা চালিয়ে, কমকরে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা রোজগার করেছেন নৃপেন সরকার নামে এক জাল কারবারি। যাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
খোলা বাজারে এক লিটার পাম তেলের দাম ৬০টাকা। আর এক লিটার সরষের তেলের দাম ১০৫ টাকা।
এবার এক লিটার ভেজাল তেলের মধ্যে হাফ লিটার পাম তেল ঢালা হত। যার দাম ৩০ টাকা। বাকি হাফ লিটার থাকত সরষের তেল ও রাসায়নিক। এর জন্য মোটের উপর খরচ পড়ে ৫০টাকা। অর্থাৎ এক লিটার ভেজাল সরষের তেলে কম করে লাভ ২৫ টাকা।
সিআইডি সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যবসায়ী নিজের একটি ভুয়ো সংস্থাও তৈরি করেছিলেন।
সেই সংস্থার মাধ্যমেই তেলের টিনগুলি সিল করা হত। এই ভেজাল কারবারের নেপথ্যে আর কে কে জড়িত, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।