কলকাতা: ভুল নম্বর জমা পড়ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। ২৭ জুন সকাল এগারোটা থেকে ২৪ ঘণ্টা ফের নম্বর জমার সংস্থান। ৯ লক্ষ ৯৬ হাজারের মধ্যে ২২০০০ পরীক্ষার্থীর নম্বর জমা পড়া বাকি, এমনটাই খবর পর্ষদ সূত্রে। বাকি পরীক্ষার্থীদের নম্বর জমা দেওয়ার জন্য এই বাড়তি সময়সীমা।


করোনা আবহে বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক  পরীক্ষা। প্রকাশিত হয়েছে বিকল্প নম্বর-বিধি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হতে পারে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে। মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করতে গেলে পর্ষদের প্রয়োজন, স্কুল থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর সংগ্রহ করা। আগেই নম্বরের গরমিল হলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।  বিজ্ঞপ্তি জারি করে রীতিমতো স্কুলগুলিকে হুঁশিয়ারি দেয় পর্ষদ।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের ক্ষেত্রে কোনও গরমিল হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি প্রয়োজনে নম্বরের রেজিস্টার চাইতে পারে পর্ষদ। আগে বলা হয় ২১ জুন সকাল ১১টা থেকে ২৪ জুনের মধ্যে, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর মিলিয়ে জমা দিতে হবে।  কিন্তু এখনও পর্যন্ত একাধিক স্কুল সেই নম্বর জমা দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। আবার ভুল নম্বর জমা পড়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। আর তাই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নম্বর পাঠানোর জন্য WWW.wbbsedata.com এই নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।


পর্ষদ সূত্রে দাবি, নিজের স্কুলের পড়ুয়াকে বেশি নম্বর দেওয়ার প্রবণতা দীর্ঘদিনের। এমন নজির রয়েছে স্কুলের হাতে থাকা মৌখিক বা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ১০-এ ১০ বা ৯ পেয়েও লিখিত পরীক্ষায় তত নম্বর পায়নি পরীক্ষার্থীরা। উচ্চমাধ্যমিকের  প্রাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টের ক্ষেত্রেও এই রেওয়াজ রয়েছে বলে শোনা যায়। সেই কারণেই কি রেজাল্টে স্বচ্ছতা আনতে পর্ষদ বা সংসদের এই নজরদারি?  এই প্রশ্ন অবশ্য আগেই উঠেছে।