ঘটনার সূত্রপাত গত মাসের ২৪ তারিখ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মধুখালি বাজারে হারু মীরের চায়ের দোকান। একটি মুদিখানা ও একটি মোবাইল ফোনের সরঞ্জামের দোকানে চুরি হয়। সেই ঘটনায় সন্দেহ করা হয় হারুকে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, গত শনিবার হারুর শ্যালক আহজার সরদার বাজারে গিয়ে একটি চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির চেষ্টা করে। চুরির অভিযোগে, আজহারকে ধরে শুরু হয় মারধর। পরিবারের দাবি, আজহারকে দিয়ে চোর হিসেবে হারুর নাম বলিয়ে নেওয়া হয়।
পরিবারের আরও অভিযোগ, হারুকে চোর সন্দেহে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল পার্টি অফিসে। ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান খতিব সরদার ও তাঁর দেহরক্ষীরা ঘণ্টাখানেক মারধর করেন হারুকে।
রবিবার মারা যান হারু।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের দাবি, তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেনই না। তাঁর সাফাই, জনরোষের শিকার হারু মীর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁদের দোকানে চুরি হয়েছে, এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা।
অথচ, সেই ঘটনায় চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান খতিব সরদার সহ ৮ জনের নামে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
তার ভিত্তিতে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং ৩৪ ধারায় একাধিক ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কিন্তু যেখানে একজনকে পিটিয়ে খুন করা হল, সেখানে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা কেন? এলাকায় ঘুরে বেড়ানো সত্বেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ? তাহলে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা?
প্রশ্ন মৃতের পরিবারের।