মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিল শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। অভিযোগ, মালদায় এরকম গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরেই সোমবার রাতে চলেছে গুলি। যাতে প্রাণ গিয়েছে এক নিরীহ যুবকের।
সোমবার বামনগ্রাম-মসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে একটি সভা ডাকেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, সেখানে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে প্রায় ২০টি নাম।
এর মধ্যে থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে বৈঠকের মাঝেই শুরু হয় গন্ডগোল। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন গুলিও চলে। কিন্তু, সেই গুলি লাগে এক নিরীহ যুবকের।
যিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। কিন্তু, কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সময় সুজাপুরের কাছেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস।
তবে তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ মানতে নারাজ। জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের দাবি,
তৃণমূল বৈঠক করেছে ঠিকই। তবে তারপর এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে সন্ত্রাস চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
একই সুর শোনা গিয়েছে জেলার পুলিশ সুপারের গলাতেও।
এই ঘটনা ঘিরে সোমবার রাতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়।