কৌশিক গাতাইত, আসানসোল: ভোজ্য তেল সরবরাহকারী ২২ চাকার ট্যাঙ্কার হাইজ্যাক করার আন্তঃরাজ্য চক্রের হদিশ পেল আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। এখনও পর্যন্ত তেলের কোনও সন্ধান না পাওয়া গেলেও ট্যাঙ্কারটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
কমিশনারেটের ডিডি এডিসিপি সৌমিক সেনগুপ্ত জানান, গত ৪ মে আসানসোল এলাকার দু নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে হাইজ্যাক হয়ে যায় ভোজ্য তেল সরবরাহকারী একটি ২২ চাকার ট্যাঙ্কার। রাজস্থান থেকে বাঁকুড়ার একটি সংস্থায় ভোজ্য তেল নিয়ে যাচ্ছিল সেই ট্যাঙ্কারটি। ট্যাঙ্কারটি উধাও হয়ে যাওয়ার ছয় দিন পর অর্থাৎ ১০ মে সেই গাড়ির চালক ও খালাসি আসানসোল উত্তর থানায় এই হাইজ্যাক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ ।
তদন্তে নেম ট্যাঙ্কারটির খোঁজে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় খোঁজ খবর করতে শুরু করে তারা। বিশ্বস্ত সূত্রে পুলিশ কয়েকটি মোবাইল নম্বর পায়। সেই সূত্র ধরেই হাওড়া সিটি পুলিশ গ্রেফতার করে ইমরান ও বসন্ত নামে দুজনকে। এদেরকে আসানসোল এনে শুরু হয় পুলিশি জেরা। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে এই দুই অভিযুক্ত কয়েকজনের নাম জনায় পুলিশকে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় নিজামুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশের ক্রমাগত জেরার মুখে ভেঙে পড়েন নিজামুদ্দিনও। তার কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে গ্রেফতার করে পাপ্পু সিং ওরফে কমলজিৎ সিং খান্ডেলওয়ালকে।
এরপরই কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মনজিন্দর সিং সিন্ধু নামে ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক জনকে। পাপ্পু সিংই এই চক্রের মুখ্য পান্ডা বলে দাবী করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় আরও কয়েকজন এখনও ফেরার। সংখ্যাটা ৭ হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদেরই খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ থেকে এই ট্যাঙ্কারটিকে অনুসরণ করছিল দুষ্কৃতীরা। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার ভোজ্য কাঁচা তেলের সন্ধান পেতে মরিয়া গোয়েন্দা বিভাগ।