কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: বর্ধমানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় বিশৃঙ্খলা। সভায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে চিত্কার করলেন দলেরই এক নেতা। এদিন বর্ধমান শহরে জেলা কার্যালয়ে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে নিজেকে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সহ সভাপতি বলে দাবি করে সভায় ঢুকতে যান এক ব্যক্তি। বাধা দেওয়ায় চিত্কার করে প্রতিবাদ জানান তিনি। বিজেপি নেতা বলে দাবি করা ওই ব্যক্তির অভিযোগ, পুরনো কর্মীদের পরিবর্তে দলে এখন সুযোগ সন্ধানীদের কদর বেশি। তোলাবাজদের নিয়ে দল চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি। এনিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
ঘটনার সময় সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন দিলীপ ঘোষ। নেতার চেঁচামেচিতে মুখে বক্তব্য থামাতে বাধ্য হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
ইন্দ্রনীল গোস্বামী নামে এক ব্যক্তি নিজেকে দলের জেলা যুব মোর্চার সহ সভাপতি বলে দাবি করে বৈঠকে তাঁকে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানান। ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
ওই ব্যক্তির দাবি, দিলীপ ঘোষ তাঁকে চেনেন। তাঁর বাড়িতেও এসেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তোলাবাজ, ধান্দাবাজদের নিয়ে সংগঠন চলছে। আজ আমাদের মতো দলের পুরানো কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হল না। এভাবে দলের পুরানো কর্মীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে।
বিক্ষুব্ধ দলের নেতার বক্তব্য, দিনের পর দিন তাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন, খেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁকেই এখন তিনি চিনতে পারছেন না। পুরনো দিনের কর্মীদের বদলে দলে এখন সুযোগ সন্ধানীদের কদর বেশি।
বিজেপি জেলা নেতৃত্ব বলেছেন, এটা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। আজ বৈঠকে যাঁদের যোগ দেওয়ার কথা ছিল, তাঁদেরই ডাকা হয়েছে।
বিধানসভা ভোট এবং মন্ত্রিসভার রদবদলের পর থেকে, বেসুরোদের নিয়ে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে বিজেপিতে। এই প্রেক্ষাপটে ফের দলেরই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।পরে অবশ্য বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ।এর আগে চুঁচুড়া, আসানসোলেও দলেরই একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ।বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকে অসন্তোষের আগুন নিভছে না রাজ্য বিজেপিতে।