মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা : একদিকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। অন্যদিকে টানা বিধিনিষেধ। স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রাজ্যের পর্যটন স্থানগুলি। সংক্রমণের হার কিছুটা কমায় ধীরে ধীরে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মন্দিরের দরজা। করোনাবিধি মেনে যাতে পূণ্যার্থীরা ঈশ্বরের দর্শন করতে পারেন। তেমনই কাঁকসার গড়জঙ্গলের শ্যামরূপা মন্দির। প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই মন্দিরে। কিন্তু মন্দিরে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাস্তার বেহাল অবস্থা। পাকা রাস্তা থেকে বিভিন্ন গ্রাম হয়ে শ্যামরূপা মন্দিরে যেতে গেলে যে রাস্তা পড়ে, সেই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার কঙ্কালসার দশায় বেশ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। তাই রাস্তা সংস্কারের দাবি চেয়ে এলাকার বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।


প্রায় তিনশো বছরের পুরনো লক্ষণ সেনের আমলের এই মন্দিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়। আর রোজ এই বেহাল রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে সমস্যাতেও পড়তে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। মন্দিরে পৌঁছনোর ৫ কিলোমিটার রাস্তা বর্ষাকালে কার্যত পুকুরে পরিণত হয় বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুর পূর্বের বর্তমান বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের কাছে তাঁরা রাস্তা সারাইয়ের আর্জি জানিয়েছেন। ২০১৬ সালে নির্বাচনে পরাজিত হয়েও মন্দিরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে আশ্বাসও দিয়েছিলেন যে, ২০২১-এর নির্বাচনে যদি তিনি বিধায়ক হয়ে ফেরেন তাহলে রাস্তা সংস্কারের কাজ করবেন। জরাজীর্ণ রাস্তাকে ফের সারাইয়ের ব্যবস্থা করবেন। 


কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জিতে প্রদীপ মজুমদার বিধায়ক হওয়ার পরই জরাজীর্ণ এই রাস্তাকে ফের সারিয়ে তোলার কাজ চালাচ্ছে তারা। শুধু তাই নয়, তাদের দাবি, বিধায়কের চেষ্টাতেই মন্দিরে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও হয়েছে। পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের হাত ধরে সেখানে মাথার উপর শেড এবং বসার জায়গারও ব্যবস্থা হয়েছে। বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা সারাইয়ের দাবি নিয়ে গেলে তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন। বিধায়কের আশ্বাসে খুশি এলাকাবাসী। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, ওই রাস্তার কিছুটা বন দফতরের অধীনও বটে। তাই রাস্তা সারাইয়ের কাজে বন দফতরের সঙ্গেও আলোচনা করা প্রয়োজন। তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন যে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই রাস্তা সারাইয়ের কাজ চালু হবে বলে।