পশ্চিম বর্ধমান: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে জিততে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা বিজেপি। ভোটের আগে থেকে সভা শুরু করেছেন দিল্লির নেতারা। 


এখনও পর্যন্ত প্রথম ও ষষ্ঠা দফা বাদে প্রতিটি ভোটের দিনও রাজ্যে এসে সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্টোদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে প্রচারে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  সভা-সমিতি-হুইল চেয়ারে রোড শো।  বাদ যায়নি কিছুই। 


এই ভোট-যুদ্ধের মধ্যেই, করোনাও মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর যুদ্ধে নেমেছে।  দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন বিপন্ন ভারত। নিভছে না চিতার আগুন। তবে এই ভয়ঙ্কর ইস্যু নিয়েও সেই রাজনৈতিক যুদ্ধ।


শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন-- 
মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্নাটক, গুজরাত, পঞ্জাব, কেরল ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীরা। 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বৈঠকে অংশ নেন। কিন্তু, বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকাই হয়নি বলে দাবি তাঁর! বললেন, শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মিটিং করছেন। করোনা বৈঠকে ডাকা হয়নি। বৈঠকে ডাকলে অবশ্যই যেতাম। 


কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা শেষ বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না বলে, আগেই সরব হয়েছে বিজেপি! কিন্তু, এবারের বৈঠকে তাঁকেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ! 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে জেনেও, হাতে প্রায় এক বছর সময় থাকা সত্ত্বেও, কেন পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়নি মোদি সরকার? এই প্রশ্ন তুলে, ফের একবার দেশকে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


বললেন, বাংলা দখল করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিজেপি। আর সংকটে ফেলছে রাজ্যকে। WHO বহুদিন আগেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা জানিয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বললেও প্রধানমন্ত্রী তা করেননি। এমনকী কাউকে বিষয়টি জানানওনি। শুধু ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন। শুধু ভাষণ দিলে হবে না, পরিস্থিতি সামলান।


বৃহস্পতিবারই কলকাতায় করোনা আক্রান্তদের শেষকৃত্যদের জন্য নির্ধারিত ধাপার শ্মশানে দেখা গেছে, সার দিয়ে পড়ে রয়েছে প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ। মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশ, শ্মশানে শ্মশানে চিতার আগুন নিভছে না।


করোনা প্রাণ কাড়ছে। কিন্তু, ভোট, রাজনীতি, তরজা চলছে নিজের মতোই।