হাওড়া : করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন রাজ্যে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে। অক্সিজেনের জোগান এবং কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। আজই জেলাশাসকদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব।


অপরদিকে, গোটা দেশের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও প্রতিনিধিত্ব করছেন মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব। শুক্রবারও দেশে করোনা সংক্রমণে নতুন রেকর্ড গড়েছে। পরপর দু’দিন দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষ পার করে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে। সঙ্গে দেশজুড়ে ২ হাজার ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।


পাশাপাশি গোটা দেশেই চলছে অক্সিজেন ও বেডের আকাল। দেশে চলতে থাকা পরিস্থিতিকে জরুরী অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার তারা কেন্দ্রকে অক্সিজেন ও কোভিড সরবরাহকারী ওষুধ ব্যবহারে বিশেষ নিয়ম প্রণয়ণের কথাও বলেছে। চলতে থাকা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছিল দিল্লি হাইকোর্টও।


গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে চরম অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন মানুষ।' এই প্রথম নয়। গতকালের শুনানিতেও একই উদ্বেগ ধরা পড়েছিল প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই অবস্থাকে জাতীয় জরুরি অবস্থার সমান বলে মন্তব্য করেন। এবিষয়ে জাতীয় পরিকল্পনা দেখতে চান বলেও জানিয়ে দেন তিনি। 


মোদি সরকারের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে গতকাল বলেছিলেন,  আমরা এ বিষয়ে একটি জাতীয় পরিকল্পনা দেখতে চাই। আমাদের চারটে বিষয় জানার আছে। সেগুলি হল, অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সরবরাহ, টিকাকরণের পদ্ধতি ও পরিকল্পনা। এই অবস্থা জাতীয় জরুরি অবস্থার সমান। প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে চলছে শুনানি। এই মামলায় আদালত-বান্ধবের ভূমিকায় অংশ নিয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে। শুক্রবার তিনি এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। আদালত তা মঞ্জুর করে।