বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়গপুর আইআইটির ৬৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফের আত্মনির্ভরতার বার্তা। এদিকে, হাসপাতালের নাম বদলের প্রতিবাদ জানিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাল ডিএসও, তৃণমূল ও একটি বামপন্থী সংগঠন। যা নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির।


সোমবার হুগলিতে জনসভা। তারপর দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো রেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটমুখী বাংলায় মঙ্গলবারও উপস্থিত থাকলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে সশরীরে নয়, ভার্চুয়ালি। 


এদিন খড়গপুর আইআইটির ৬৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, উদ্বোধন করলেন হাসপাতালের। দূর নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার মাধ্যমে চালু করলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চের। 


এরপরই ভবিষ্যতের ইঞ্জিনিয়রদের উদ্দেশে স্বনির্ভরতার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২১ শতকের ভারত অনেকটাই বদল হয়েছে ৷ এখন আইআইটি শুধুই আর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি নয় ৷ তার থেকে অনেক বেশি ৷
 
তবে এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হতে না হতেই, বিক্ষোভ শুরু হয় আইআইটি ক্যাম্পাসের বাইরে। আইআইটির তৈরি ৭৫০ শয্যার হাসপাতালটির প্রথমে নাম হওয়ার কথা ছিল বিধানচন্দ্র রায়ের নামে, বিসি রায় ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতাল। 


কিন্তু, উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে হঠাতই বদলে করা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ! বিধানচন্দ্র রায়ের মতো কিংবদন্তী চিকিৎসকের বদলে, হঠাৎ‍ করে বিজেপির পূর্বসুরী জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে কেন হাসপাতালের নামকরণ করা হল? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখায় এসইউসির ছাত্র সংগঠন ডিএসও।


পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএসও বিশ্বরঞ্জন গিরি বলেন, বিধান রায়ের নামেই হাসপাতাল করতে হবে, না হলে আরও বড় আন্দোলন ৷


ডিএসও-র পাশাপাশি বলরামপুরে আইআইটির নতুন হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূলও। খড়গপুরের তৃণমূল নেতা চন্দন সিংহ বলেন, আগেই আপত্তি জানিয়েছিলাম, নাম বদল করা যাবে না, আইআইটিতেও এখন গেরুয়াকরণ হচ্ছে ৷


একই ইস্যুতে, আইআইটির মেন গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আমরা বামপন্থী নামে একটি সংগঠন। যদিও আইআইটি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, বোর্ড মিটিংয়েই নামবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।