মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান: একই এলাকায় তৃণমূলের পৃথক সংখ্যালঘু সেল! আর তা ঘিরে ভোটের আগে প্রকাশ্যে চলে এল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আরও একবার সামনে এল পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির অনুগামীদের সংঘাত!


গত মঙ্গলবার, পাণ্ডবেশ্বরে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন হায়দার মন্ডল। তিনি পাণ্ডবেশ্বরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামী বলে পরিচিত। এক সপ্তাহের মধ্যে, সোমবার একই এলাকায় পৃথক সংখ্যালঘু সেল গঠন করেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির অনুগামী বলে পরিচিত মুনির মন্ডল। একই ব্লকে একই দলের পৃথক সেল! আর তা নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে দু-পক্ষ। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের নবনিযুক্ত সভাপতি মুনির মণ্ডল জানান, ‘‘হায়দারের মাইনরিটি হওয়ার বিষয়টিই মানেন না। হায়দার মাইনরিটিই নয় ,ও মাইনরিটি হল কবে?’’


এদিকে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলে সভাপতি হায়দার মণ্ডল জানান, ‘‘আমার কাছে উচ্চ নেতৃত্বের লিখিত চিঠি আছে তিনি সেটা মেনেই কাজ করছেন । হায়দার বাবু মুনির মন্ডলদের মাইনরিটি ব্যাপারে কাগজপত্র মিথ্যা বলে আখ্যা দেন ৷’’


এনিয়ে আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি বিজেপি। পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই জানান, ‘‘তৃণমূল বলছে যে খেলা হবে, এবার বোঝা যাচ্ছে কারা কার সাথে খেলবে। তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের সাথে খেলবে ৷’’


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মেনে নিলেও, তা বড় করে দেখতে রাজি নয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘বড় পরিবারে ছোট ঠোকাঠুকি হয়। সব আমরা সামলে নেব ৷’’


স্থানীয় সূত্রে খবর, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সংঘাত দীর্ঘদিনের। কখনও সভামঞ্চে, কখনও ফেসবুক পোস্টে, একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। একুশের যুদ্ধের আগে, যুক্ত হল দুই নেতার অনুগামীদের দ্বন্দ্বও।