কলকাতা: প্রতারণায় অভিযুক্ত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রাতে তল্লাশি জগাছা থানার পুলিশের। জোড়াবাগান থানা এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত নীল বাতি লাগানো গাড়ি। পুলিশের দাবি, এই গাড়ি চড়েই ঘুরতেন শুভদীপ। গাড়ির মালিক রমেশ কায়স্থই ছিলেন চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে রমেশ দাবি করেন, তাঁকে সিবিআই অফিসার হিসেবে অথরাইজড লেটার দেখান শুভদীপ। আস্থা অর্জন করায় শুভদীপকে গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন রমেশ। খবর সূত্রের। ওই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে জগাছা থানার পুলিশ।


সিবিআই অফিসার, সেনাকর্মী, রেলের ভিজিল্যান্স অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। নীলবাতি লাগানো গাড়িতে যাতায়াত এবং সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে বিয়ে করার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। আর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলার মধ্যেই স্বামীর এই কীর্তিকলাপের পর্দাফাঁস করেছেন তাঁর স্ত্রী। নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে কখনও বাবাকে কখনও আবার শ্বশুরকে অফিসে দিয়ে এসেছেন কখনও অফিস থেকে বাড়িও পৌঁছে দিয়েছেন। এমন দাবিও করেছেন ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। এমনকী নিকট আত্মীয়ের বিয়েতেও সেই গাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন বিয়েবাড়ি। এবার সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।


চলতি সপ্তাহে দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেল থেকে প্রতারণায় অভিযুক্ত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড দিয়েছে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট।  এরপরই গতকাল রাতে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতেই বাজেয়াপ্ত হল নীল বাতি লাগানো গাড়ি। ধৃত শুভদীপের মা শুভ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি জানতাম সিবিআইতে চাকরি করে, ২০১৭ থেকে। বলত পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। প্রথমে বলত, সিবিআইতে ক্যাজুয়াল স্টাফ। তারপর বলল পার্মানেন্ট হয়ে গেছে। নীলবাতি গাড়িতে চলত, হয়ত স্ত্রীকে দেখানোর জন্য।“


এমনকী নীল বাতি লাগানো গাড়ির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "মেয়েটাকে খুশি করার জন্য ভুয়ো সিবিআই অফিসারের পরিচয় দিয়েছিলাম। আমি জাল সিবিআই-এর পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলাম। নীলবাতি লাগিয়েছিলাম, নোনোপুকুর ট্রামডিপো থেকে। পরিচিত ছিল। গাড়ি ভাড়া করতাম, দিনে ৩ হাজার ভাড়া নিত। পরিচিত একজন করে দিত।"