নদিয়া: ভেজাল তেল, ঘি, মশলার পর এবার ভেজাল চিপসের কারখানার হদিশ নদিয়ায়। নবদ্বীপ পুরসভা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বেআইনি কারবারের পর্দাফাঁস। গোখাদ্যের নামে বেআইনি কারবার চালানোর অভিযোগে আটক কারখানার মালিক।


টক, ঝাল, মিষ্টি কিম্বা নোনতা...হরেক স্বাদের মুচমুচে চিপস। প্যাকেটবন্দি যে খাবারের হাতছানি এড়ানো দায়, এবার ভেজালের বিষ সেখানেও!


বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নবদ্বীপ স্টেশন রোডে এই কারখানার হানা দেয় পুলিশ ও পুরসভার আধিকারিকরা। থরে থরে সাজিয়ে রাখা বস্তা খুলে দেখতে শুরু করেন পুর আধিকারিকরা।


উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ চিপসের প্যাকেট ও চিপস তৈরির মশলা! অভিযোগ, গোখাদ্যের ব্যবসার নামে তলে তলে ভেজাল চিপসের কারবার ফেঁদে বসেছিলেন কারখানার মালিক!


নবদ্বীপ থানার পুলিশ সূত্রে খবর, কারখানায় ভেজাল চিপস তৈরির পর তা পাঠানো গত বর্ধমান ও নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায়।ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে সেই ভেজাল চিপস পৌঁছে যেত বিভিন্ন দোকানে।


সম্প্রতি, ভেজাল চিপস সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে নবদ্বীপ পুরসভায়। এরপরই কারখানায় তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ।


নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, এখানে কারখানা খুলে বসেছিল, কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই, কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।


এর আগেও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেজাল কারবারের পর্দাফাঁস করেছে প্রশাসন। গত ৬ মে, নদিয়ার শান্তিপুরে ভেজাল ঘি কারখানার পর্দাফাঁস করে সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় এক দম্পতিকে। পরে জানা যায় শিয়ালদা, বড়বাজার এবং হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হত ওই ভেজাল ঘি।


এরপর ১২ মে শান্তিপুরেই রাস্তার পাশ থেকে প্রায় ৭০-৮০ টিন ভেজাল ঘি উদ্ধার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল শান্তিপুরের গোবিন্দপুর বাজারে ভেজাল সরষের তেল তৈরির কারখানায় হানা দেয় সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় কারখানার মালিককে।


১৯ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় ভেজাল সরষের তেল তৈরির কারখানায় হানা দেয় সিআইডি। সম্প্রতি, নদিয়ায় ভেজাল কালো জিরে ও মশলা তৈরির কারবারেরও হদিশ পেয়েছে পুলিশ।


এবার ধরা পড়ল ভেজাল চিপস তৈরির কারবার!