মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা: সুনীল মণ্ডলের দলবদলের জল্পনা তৈরি হতেই তাঁর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। কাঁকসায় সাংসদের পৈত্রিক বাড়ির কাছে পোস্টারে তাঁকে গদ্দার বলে আক্রমণ করা হয়। তৃণমূলের নামে পোস্টার পড়লেও, শাসকের দাবি দলের কেউ যুক্ত নয়। পানাগড় বাজারের উপরে পুরোনো একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সামনেও পড়েছে পোস্টার। এই নিয়ে সুনীল মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


বর্ধমান পূর্বের বিজেপি নেতা ও সাংসদ সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন, ভেবেছিলাম বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বড় সাংগঠনিক দল, সেরকমভাবে পাচ্ছি না। দিন দশেক আগে বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুনীল মণ্ডল। এরপর থেকে গেরুয়া শিবিরের কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে আর দেখা যায়নি। যার জেরে বর্ধমান পূর্বের সাংসদের তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও জোরাল হয়েছে। এরইমধ্যে এবার তাঁর প্রত্যাবর্তনের বিরোধিতা করে ফের পোস্টার পড়ল কাঁকসার বিস্তীর্ণ এলাকায়।


বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে, কাঁকসায় সুনীল মণ্ডলের পৈত্রিক বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। সুনীল মণ্ডলের সেই বাড়ির খুব কাছে দেওয়া এই পোস্টারে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আক্রমণ করা হয়েছে। শাসক দলের নামে পোস্টার পড়লেও, স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, সুনীল মণ্ডলের প্রসঙ্গ এখন তাদের কাছে ক্লোজ চ্যাপ্টার।


কাঁকসার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী বলেন, সুনীলকে নিয়ে কোনও ভাবনার অবকাশ নেই, তিনি ফের দল বদলালে আর বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না, সুনীলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও পোস্টার দেয়নি, কেউ হয়তো ক্ষোভের বশে বিচ্ছিন্নভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সুনীল মণ্ডল এখও বিজেপি ছাড়েননি, কিন্তু এরইমধ্যে তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করছে বিজেপি।কাঁকসার বিজেপি নেতা বিকাশ বিশ্বাস বলেন, উনি তৃণমূলে ফিরবেন কি না তা সুনীল ও তৃণমূলের ব্যাপার, এটা ওদের বিষয় আমরা এই নিয়ে কী বলব?


গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ।  কাঁকসায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও, প্রতিক্রিয়া মেলেনি।