কলকাতা : '১ হাজারের বেশি OMR শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি হয়েছে। আর এর পিছনে রয়েছেন SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সোমবার, আলিপুর আদালতে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে CBI এরপর মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট, বাছাই করা সংস্থাকে নষ্ট করার বরাত দেওয়া হয়েছিল, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সিবিআই', নির্দেশ হাইকোর্টের । 


 ‘এফআইআর দায়ের করবে সিবিআই’
বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখবে সিবিআই’। ‘২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কার কার ওএমআর শিট নষ্ট? সেই তথ্য অজানা পর্ষদের কাছে' , মন্তব্য বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা, সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়’, রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এফআইআর দায়ের করবে সিবিআই’। 


পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আজ রাত ৮টার মধ্যে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। সহযোগিতা না করলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা। সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়, রিপোর্ট দেখে মন্তব্য বিচারপতির। 


অন্যদিকে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোমবার আলিপুর আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে CBI। তাদের বক্তব্য, ১ হাজারের বেশি OMR শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি হয়েছে। আর এর পিছনে রয়েছেন SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে CBI’এর আইনজীবী দাবি করেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। অনেকে যুক্ত রয়েছেন। শেষ অবধি পৌঁছতে হবে। কার কী ভূমিকা ছিল, তা দেখতে হবে। সুবীরেশ এমন ব্যক্তি যাঁর মাধ্যমে এই কাজটা করা যাবে।  তখন বিচারক বলেন, এই ছ’দিনে কী করলেন?  তখন CBI’এর আইনজীবী বলেন, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সব তথ্য CD’তে আছে।


CBI’এর তদন্তকারী অফিসার আদালতে দাবি করেন, OMR শিট বা উত্তরপত্রে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। তখন বিচারক জানতে চান, কীকরে বুঝলেন উত্তরপত্রে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে? তখন তদন্তকারী অফিসার বলেন, সার্ভার পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই সার্ভার পরীক্ষা করে জানা গেছে, প্রায় ১ হাজারের উপর উত্তরপত্রে কারচুপি করা হয়েছে।