শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও গোপাল চট্টোপাধ্যায়: প্রথম বর্ষাতেই ভোগান্তির ছবি ধরা পড়ল উত্তর ও দক্ষিণের দুই প্রান্তে। কোচবিহারে বৃষ্টির জল জমে নাকাল গুড়িয়াহাটি এলাকার বাসিন্দারা। বীরভূমের নলহাটিতে প্রতিবাদ জানিয়ে বেহাল রাস্তায় ধানগাছ পুঁতলেন গ্রামবাসীরা।
বৃষ্টির জল জমে বেহাল রাস্তা। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। প্রায় দশটি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা। রাস্তায় ধান গাছ পুঁতে, অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন নলহাটি ২নম্বর বক্লের কুমারসন্ডা ও সালিন্ডা গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন বিডিও ঘটনাস্থলে গেলে, গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, লোহাপুর রেলগেট থেকে মুর্শিদাবাদের মোড়গ্রাম পর্যন্ত রেলের আওতাধীন প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। তার প্রতিবাদেই এদিন অভিনব পদ্ধতিতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। নলহাটি ২ নং ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, “রাস্তাটা রেলের হওয়ায় আমরা ঠিক করতে পারছি না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। বিষয়টি রেলকে জানানো হবে।’’
দুর্ভোগের এক ছবি কোচবিহারেও। টানা বৃষ্টিতে কোচবিহারে জলমগ্ন গুড়িয়াহাটি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। কোচবিহার শহর লাগোয়া গুড়িয়াহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানে ১৫৫, ১৫৯ ও ১৬৬ নম্বর বুথ এলাকায় এখন এমনই ছবি। জল ঠেলে চলছে যাতায়াত। বাড়ির উঠোন ভাসিয়ে কোথাও আবার দাওয়া পর্যন্ত উঠে পড়েছে জল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্গন্ধময় জমা জল থেকে এলাকায় রোগ ছড়াচ্ছে।
গ্রামবাসী জয়া বর্মন বলেন, “আমরা এখানে খুব সমস্যায় আছি। প্রধান ও পঞ্চায়েতের কাছে গিয়েছি। শুধু বলেছে আজ করব, কাল করব, কোনও কাজ হয়নি। বর্ষা চলে গেলে এদের আর দেখা যায় না। বর্ষার জল ঘরে। পোকামাকড়। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’’ কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল রায় বলেন, “এটা নিচু এলাকা। বিডিওকে জানিয়েছি। অনেক টাকার কাজ। পঞ্চায়েতের তো অত পান্ড থাকে না। ওদের কষ্ট বুঝতে পারছি। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সুরাহা করার।’’