হংসরাজ সিংহ, রঘুনাথপুর: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি। আর সেখানে কিনা নরেন্দ্র মোদিকে ম্যাডাম বলে সম্বোধন করে বসলেন বিজেপি বিধায়ক।
চিঠিটি লিখেছেন, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি। প্রথমবার জিতে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। বিজেপি বিধায়কের চিঠিটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত একটি শিশুর চিকিৎসার জন্য, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীক, রেসপেক্টেড ম্যাডাম বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
বিজেপি বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকেও একই বয়ানে চিঠিটি লেখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চিঠির ক্ষেত্রে ভুলবশত ম্যাডাম শব্দটি থেকে গেছে। ব্যস্ত থাকায়, তা না দেখেই চিঠিতে সই করে দিয়েছেন। তবে, এখনও চিঠিগুলি কাউকে পাঠানো হয়নি বলেই দাবি বিজেপি বিধায়কের।
বললেন, মুখ্যমন্ত্রীকেও এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ভুল করে প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে ম্যাডাম শব্দটি থেকে গেছে। হাজারি বাউড়ি আমার কাছে পরাজিত হওয়ার পর মানসিক রোগী হয়ে পড়েছেন। তাই ছোট জিনিসকে বড় করে দেখিয়ে এইসব করে বেড়াচ্ছেন।
পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হাজারি বাউড়ি বলেন, এই ধরনের ভুলে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, সেই কারণেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রেসপেক্টেড ম্যাডাম বলে নিজের লেটার প্যাডে স্বাক্ষর করেছেন। সব মিলিয়ে, প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ম্যাডাম সম্বোধন নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
অন্যদিকে, জেলার আরেকটি ঘটনায় বিজেপি পরিচালিত পুরুলিয়ার ডুড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একসঙ্গে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল ও সিপিএমের সদস্যরা।
১০ আসনের এই পঞ্চায়েতে ৬টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তৃণমূল জেতে ৩টি আসনে। আর সিপিএমের দখলে আছে ১টি আসন। সম্প্রতি, ডুড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপিতে ভাঙন ধরে। গেরুয়া শিবির ছেড়ে ২ সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বিজেপি। অন্যদিকে, তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৫।
এই অবস্থায়, মঙ্গলবার দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি পরিচালিত ডুড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল ও সিপিএম।