সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার রুখতে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিল পুরুলিয়ার 'তামাক মুক্তি কেন্দ্র'। জনবহুল এলাকায় গুটখা, ধূমপান সহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার রুখতেই এই বিশেষ অভিযান। 


এই প্রচারের মাধ্যমে শুধুমাত্র সচেতনতা প্রচার করা হয় তাই নয় বেশ কিছু কড়া নিয়মবিধিও জারি করা হয়। লোকালয়ে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করলেই কড়া ধমকের সঙ্গে দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। 


এই দিন পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে শুরু হয় এই বিশেষ অভিযান। এরপর 'তামাক মুক্তি কেন্দ্র'-এর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই এলাকার বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড, স্টেশন ও মার্কেট কমপ্লেক্সেও এই অভিযান চালানো হবে।  


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে পুরুলিয়া জেলাজুড়ে শুরু হয় তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতা মূলক এই প্রচার। 'তামাক মুক্তি কেন্দ্রে'র তরফেই এই প্রচার অভিযান চালানো হয় প্রত্যেক বছর। কিন্তু টানা চার বছর ধরে প্রচার চালানোর কোনও ফল পাওয়া গেল কি? বিগত চার বছরের সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, এমনটাই দাবি করছেন 'তামাক মক্তি কেন্দ্রে'র আধিকারিকরা। ফলে এই বছর শুধুমাত্র প্রচার চালিয়েই অভিযান শেষ করা হয়নি। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দিকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। কেউ অসচেতন হলেই মিলছে কড়া ধমক, এমনকী ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে 'তামাক মুক্তি কেন্দ্র' ও পুলিশের তরফে।


প্রত্যেক বছর কত কত মানুষ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত এই তামাকজাত দ্রব্য সেবনের জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোটা জীবনের জন্য দাগ রেখে যায় সেইসব রোগ। কখনও আবার মৃত্যু পর্যন্তও ঘটে। হাজার রকমভাবে প্রচার চালিয়েও কিছুতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। এবার তাই শুধু মুখের কথায় নয়, নিয়ম না মানলে কড়া শাসন ও জরিমানা উভয়েরই প্রয়োগ করা হচ্ছে পুরুলিয়ায়।