পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় ই ওয়ালেট জালিয়াতি কান্ডে নতুন চক্রের হদিশ, উদ্ধার করা হল বিপুল সংখ্যক সিম কার্ড। উদ্ধার হওয়া বিপুল সংখ্যক কিউ আর কোড কি কাজে লাগত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাঁকুড়ার ই ওয়ালেট জালিয়াতি কান্ডের তদন্তে নতুন মোড়। ঘটনার তদন্তে নেমে একই ধরনের  অপর একটি জালিয়াত চক্রের হদিশ পেল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বিপুল সংখ্যক সিম কার্ড ও মোবাইল ফোন উদ্ধারের পাশাপাশি নতুন চক্রের মাস্টার মাইন্ড সব্যসাচী কুন্ডুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল সংখ্যক কিউ আর কোড। জালিয়াতি কান্ডে কিউ আর কোড কি কাজে লাগত তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত নতুন এই চক্রের মাস্টার মাইন্ড সব্যসাচী কুন্ডু সহ দুজন গ্রেফতার হয়েছে। 


গত ১০ অগাস্ট বাঁকুড়া জেলায় প্রথম ই ওয়ালেট জালিয়াতি কাণ্ড সামনে আসে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করে। এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন ১৩ অগাষ্ট রাতে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার আড়রা গ্রামের কাছে জেটিয়া পুকুরে জলের ধার থেকে উদ্ধার হয় ৮৮ টি মোবাইল ফোন। বিপুল সংখ্যক এই মোবাইল ফোন উদ্ধারের ঘটনা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় জেলায় আরও কোনও ই ওয়ালেট জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের।


তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিষেক মন্ডলের পাশাপাশি বাঁকুড়ার ছাতনা থানার খড়বোনা গ্রামে পৃথক ভাবে ই ওয়ালেট চক্র ফেঁদে বসেছিল সব্যসাচী দত্ত নামের অপর এক যুবক। পৃথক এই চক্রও ভুয়ো আধার কার্ডের ভিত্তিতে হাজারে হাজারে সিম কার্ড আক্টিভেট করে সেই সিম কার্ডের ভিত্তিতে ই ওয়ালেট তৈরী করে বিভিন্ন রাজ্যের জালিয়াত চক্রকে সরবরাহ করত। সব্যসাচীর বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বিপুল সংখ্যক আক্টিভেটেড সিম কার্ড,  মোবাইল ফোন,  কম্পিউটার, ভুয়ো আধার কার্ড পেয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা ই ওয়ালেট জালিয়াতি কান্ডে এখনও পর্যন্ত সামনে আসা দুটি চক্রের মধ্যে মোডাস অপারেন্ডির কোনও ফারাক নেই। তবে নতুন এই জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫৭ টি কিউ আর কোড এই ঘটনার তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জালিয়াত চক্রটি এই কিউ আর কোড গুলি ঠিক কোন কাজে লাগাত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।