কলকাতা: রাজ্য জুড়ে সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফের ছুটির ঘণ্টা। দাবদাহের কারণে সরকারি নির্দেশে স্কুলগুলিতে ক্লাস বন্ধ। এবার বিধি মেনে পড়বে গরমের ছুটিও।
রাজ্য জুড়ে খাঁ খাঁ করছে সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি। গরমের জন্য ১১ এপ্রিল থেকে ক্লাস বন্ধ। গরমে ক্লাস নিলে শাস্তির হুঁশিয়ারি সরকারের। কার্যত কেরানির মতো স্কুলে নিত্য হাজিরা শুধু শিক্ষকদের। সরকারি সূত্রের খবর, এরপরেও রীতি মেনে ২৩ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি।


কেউ কেউ বলছেন, এতো ছুটিই ছুটি। এমন ছুটি চললে সিলেবাস শেষ হবে কী করে? চিন্তিত শিক্ষকরাই।

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, একটি শিক্ষাবর্ষে  আইসিএসই -র ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের সময় এক হাজার ঘণ্টা।আইএসসি-র ও সিবিএসই-র ক্ষেত্রে সময়টা ১২০০ ঘণ্টা।মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, পর্ষদ অনুমোদিত স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনের সময় ১০৪৫ ঘণ্টা।
প্রশ্ন উঠেছে, পঠনপাঠনের সময়সীমা পূরণ করার তাগিদ থেকেই যেখানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে পড়াশুনা চলছে, সেখানে ক্লাস বন্ধের ফতোয়া কেন সরকারের? শিক্ষামহলের একাংশের অভিমত, এটা আদতে জনমোহনী নীতি।
ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের সাইকেল বিলি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পড়ুয়াদের জুতো থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই, টেস্টপেপার। শিক্ষামহলের একাংশের প্রশ্ন, সময়মতো সিলেবাস শেষ না করে শুধু উপঢৌকন দিলে কি শিক্ষা হয়?
অনেকে বলেন, বাম আমলে ইংরেজি তুলে দেওয়ার জেরে পিছিয়ে পড়েছে কয়েকটা প্রজন্ম। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলতেন, ইংরেজি শিখলে যে টান পড়বে শাসকের ভোটে! কারও কটাক্ষ, এ ব্যাপারে জ্যোতি বসুর অনুগত ছাত্রী যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! যেখানে ক্লাস, পড়াশুনা গৌণ, মুখ্য পড়ুয়াদের জন্য সাইকেল থেকে জুতো।