সূত্রের খবর, বৈঠকে মানস ভুঁইয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। মানস বলেন, অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান তাঁকে অপমান করেছেন। পিএসি পদ সিপিএমকে ছাডা হবে কিনা তা স্পষ্ট করে বলাও হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে।
অভিযোগ শুনে রাহুল গাঁধী বৈঠকে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সিপি জোশিকে দায়িত্ব নির্দেশ দেন অধীর ও মান্নানের সঙ্গে মানসকে বৈঠকে বসাতে। সূত্রের খবর, ৯ আগস্ট দিল্লিতে সেই বৈঠক হবে। ফলে এখনই মানসকে শোকজের জবাব দিতে হচ্ছে না বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
পিএসি পদ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত মাস খানেক আগে। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীর নির্দেশ পেয়ে পিএএসি পদের জন্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু সেদিনই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে মানসের নাম ঘোষণা করে দেন। সেসময় কংগ্রসের অন্য বিধায়করা বিক্ষোভ দেখালেও চুপ ছিলেন মানস। বিতর্কের মধ্যেই পিএসি পদ গ্রহণ করেন মানস।
এরপর তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস পিএসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে বললেও তিনি মানতে অস্বীকার করেন। শেষপর্যন্ত দল তাঁকে শোকজ করে। এরপরই দিল্লি গিয়ে হাইকম্যান্ডের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন।