কলকাতা: কলকাতার হেস্টিংস অফিসে রাজ্য বিজেপির বৈঠকে অনুপস্থিতই থাকলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে চলে যাওয়ার জল্পনা থাকা সত্ত্বেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, রাজীবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল লিঙ্কও। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। এদিন হেস্টিংসে রাজীবকে দেখাও যায়নি। আগামী তিনমাস দলের কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই এই বৈঠকের আয়োজন। খসড়া কর্মসূচি পেশ হওয়ার পর তা চূড়ান্ত হবে। করোনা আবহে বিজেপি রাজ্য কমিটির ১২৩ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জনকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাকিদের কাছে পাঠানো হয় অডিও-ভিডিও লিঙ্ক। দলের এই বৈঠকে রয়েছেন সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন-সহ অন্য নেতারা। উপস্থিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে জোড়া চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর একটি খোলা চিঠিও তিনি পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মুখবন্ধ খামে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কী লিখেছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কোনও পক্ষই। তবে জানা গিয়েছিল, ডোমজুড়ের ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নাম ও ঠিকানার উল্লেখ করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন রাজীব।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা করার পর থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা ফের জোরালো হয়। দু'জনই 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' বললেও জল্পনা থেমে থাকেনি। বিশেষ করে 'মা মাটি মানুষ' লেখা ব্যাজ রাখা গাড়িতে চড়ে রাজীবের কুণালের সঙ্গে সাক্ষাতের জেরেই প্রত্যাবর্তন গুঞ্জন জোরালো হয়েছিল। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের ভোট পরবর্তী ভূমিকা নিয়েও তিনি কার্যত জনসমক্ষেই প্রশ্ন তুলে জল্পনা আরও কিছুটা জোরালো করেছিলেন। 'কথায় কথায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি মানুষ ভালোভাবে নেবে না' লিখে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন তিনি।