সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: ১৭৩ রকমের দেশলাই বাক্স সংগ্রহ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন দেগঙ্গা হাদিপুরের কলেজ ছাত্র রৌনক ভট্টাচার্য।


প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে রৌনক ভট্টাচার্য। ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে স্বভাবের। বাবা-মায়ের কথা না শুনে যেখানে যা পেতেন কুড়িয়ে রাখতেন নিজের সংগ্রহে। দেশ-বিদেশের পয়সা থেকে শুরু করে প্রাচীন যা কিছু কুড়িয়ে পেতেন সেগুলি সযত্নে রেখে দিতেন। অবশেষে দেশলাইয়ের বাক্স সংগ্রহ করে বিশ্ব রেকর্ডের খাতায় নাম তুললেন দেগঙ্গা হাদিপুরের কলেজ ছাত্র রৌনক ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই ১৭৩ রকমের দেশলাইয়ের বাক্স জোগাড় করে বিশ্বের দরবারে সে নাম কিনেছে।


রৌনক জানান, ক্লাস সেভেন থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল যে কিছু একটা করতে হবে। অনেকেই চাল দিয়ে বা সরষে দিয়ে রবীন্দ্রনাথের ছবি এঁকে বিশ্বের দরবারে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু তাঁর মাথায় আসে দেশলাইয়ের বাক্স সংগ্রহ করবেন। তাঁর এই  কাজ  নিয়ে বাবা-মার কাছে কম বকাবকি খেতে হয়নি। রৌনক জানিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্রমণ হোক বা পুরীতে বেড়াতে যাওয়া হোক, একাধিক জায়গা থেকে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন দেশলাই বাক্স। তবে কোনওটাই একরকমের নয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে দেশি বিদেশি সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন  দেশলাইয়ের বাক্স সংগ্রহ করেছেন তিনি।


রৌনক জানান, বর্তমানে তাঁর কাছে ১৭৩টি কোম্পানির দেশলাই বাক্স রয়েছে। শতাধিক দেশলাই বাক্স সংগ্রহ করার পর ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডে নাম লেখার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন তিনি। অবশেষে তাঁর সফলতা বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল। রৌনক জানিয়েছেন, ১৩০ টি দেশলাইয়ের বাক্স নথিভুক্ত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডে। আর এই নিয়ে সারা পৃথিবীর কাছে এক অবিশ্বাস্য বিষয় সাধ্য করে তুলল কলেজ ছাত্র রৌনক ভট্টাচার্য। ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা মাও। রৌনকের বিশ্ব রেকর্ডে তাঁর পরিবার আনন্দে মেতেছে। রৌনককে নিয়ে গর্বিত দেগঙ্গার হাদিপুরের বাসিন্দারা। উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরা। বিশ্ব রেকর্ডের পর রৌনক বলেন, “কোনও কিছুই অসাধ্য নয়। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব”