হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে হাওড়া। ফের দুই জেলায় বেপরোয়া অটোর দৌরাত্ম্য। রবিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণ গেল ৩ জনের! শুধু তাই নয়, অটো চালকের চূড়ান্ত অমানবিকতার সাক্ষী রইল ক্যানিং।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাসন্তী থেকে ১০-১২ জন যাত্রীকে নিয়ে ক্যানিংয়ের দিকে যাচ্ছিল একটি অটো। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেপরোয়া গতিতে এসে হঠাত্‍ই মাতলা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি অটোকে, পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে যাত্রী বোঝাই অটোটি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন সেলিমা বিবি ও হাসিবুর রহমান গাজি নামে দুই যাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রক্তাক্ত ২ যাত্রীকে রাস্তায় ফেলে রেখেই অটো নিয়ে চম্পট দেন চালক। প্রায় আধ ঘণ্টা, রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকেন মহিলা যাত্রী। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।
এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। সকাল ১০টা নাগাদ বেপরোয়া অটো দৌরাত্ম্যে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উলুবেড়িয়ার কালীনগর চৌরাস্তার কাছে শ্যামনগর থেকে অন্য একটি অটোর সঙ্গে রেষারেষি করতে করতে আসছিল যাত্রীবোঝাই অটোটি।
সে সময় উলুবেড়িয়া থেকে শ্যামনগরের দিকে যাচ্ছিল আরেকটি অটো। উলুবেড়িয়ার কালীনগর চৌরাস্তার কাছে সেই অটোটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় যাত্রীবোঝাই অটোটির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শেখ নিয়ামত নামে বছর ৬৫-র এক অটো যাত্রীর। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরেক মহিলা যাত্রীকে। এর আগে এদিন উলুবেড়িয়ার ধুলো-সিমলা বাজারে, বেপরোয়া অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ় আঁখ বিক্রেতার।
কিন্তু এই প্রথম নয়, এর আগেও বেপরোয়া অটো দৌরাত্ম্যে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। গতবছর সেপ্টেম্বরে খন্নার কাছে, সিগন্যাল ভেঙে চলন্ত বাসে ধাক্কা মারে বেপরোয়া অটো। মৃত্যু হয় অটোতে থাকা কলেজ ছাত্রীর। এরপর নভেম্বরে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়েই অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। অটো দৌরাত্ম্যে রাশ টানতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও ছবিটা যে বদলায়নি, ফের মিলল তার প্রমাণ।