উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটে বিএমডব্লু চেপে এসে ১১ লক্ষ টাকা লুঠ। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ চার দুষ্কৃতী। এখনও পলাতক দু’জন।
বসিরহাটের ভবানীপুরের বাসিন্দা ভাস্কর চক্রবর্তী পেশায় গ্যাস ডিলার। তাঁর দাবি, সোমবার সন্ধেয় বাড়ির বাইরে থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি ছুটে যান। দেখেন, তাঁর এক কর্মীর হাত থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে বিএমডব্লু গাড়িতে চড়ে পালাচ্ছে ৬ জন যুবক। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই কর্মী ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁকে দিতে আসছিলেন। সেই ব্যাগটিই ছিনিয়ে গুলি চালাতে চালাতে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন গ্যাস ডিলার ভাস্কর চক্রবর্তী। থানা থেকে বিষয়টি জানানো হয় বসিরহাটের আইসিকে। সেই সময় তিনি কলকাতা থেকে মিনাখার দিকে ফিরছিলেন। রাস্তায় বিএমডব্লু গাড়িটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাড়া করে ধরে ফেলেন দুষ্কৃতী সহ গাড়িটি। তবে ৬ দুষ্কৃতীর মধ্যে দু’জন পালিয়ে যায়।
তবে চমকের শেষ এখানেই নয়। ধৃত মূল অভিযুক্তর পরিচয় জানার পর তো গ্যাস ডিলারের চক্ষু চড়কগাছ। মূল অভিযুক্তের নাম শুভঙ্কর দাস। তিনি অভিযোগকারী গ্যাস ডিলারের অফিসেরই এক কর্মীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত শুভঙ্করকে জেরা করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে গ্যাস ডিলার ভাস্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শুভঙ্করের। তার বদলা নিতেই লুঠের ছক কষেন শুভঙ্কর।
কোথা থেকে মিলল বিএমডব্লু? পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত শুভঙ্করের শ্বশুরবাড়ি চুঁচুঁড়ায়। সেখানেই বাকিদের অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। ধৃতদের মধ্যে লোকেশ শর্মা নামে একজন গাড়িচালক। তিনি এক ব্যক্তির বিএমডব্লু গাড়িটি চালাতেন। ৫০ হাজার টাকার টোপ দিয়ে লোকেশকে এই পরিকল্পনায় সামিল করেন শুভঙ্কররা।
ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা।