আশাবুল হোসেন, সুমন ঘড়াই ও সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: বাংলা থেকে সেলের প্রধান দফতর সরানোর প্রতিবাদ। সেলের প্রধান দফতর সরালে অনেকে কাজ হারাবেন। ক্ষতি হবে রাজ্যের স্টিল প্ল্যান্টগুলির। কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
নবরত্ন সংস্থাকে নিয়ে আরও একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ইস্পাতমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী। সম্প্রতি, স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সেল-এর হেড কোয়ার্টার বাংলা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেই কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র যাতে মত বদলায় সেই দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিলেন অমিত মিত্র। চিঠিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাংলা থেকে সেলের হেড কোয়ার্টার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, একথা জেনে আমি হতভম্ব। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়বেন। সমস্যায় পড়বেন এখানকার শতাধিক স্থায়ী কর্মীও।’
চিঠিতে অমিত মিত্র আরও লিখেছেন, ‘সেলের হেড কোয়ার্টার স্থানান্তরিত হলে, দুর্গাপুর ও বার্নপুরের ইস্পাত কারখানায় কাঁচামাল জোগানে সমস্যা দেখা দেবে।’
এদিকে, এই ইস্যুতে কেন্দ্র সরকার তথা বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে হেরে বাংলাকে ভাতে মারার ছক নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, ‘সংসদের দুই কক্ষে আমরা প্রতিবাদ করব।’
আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসাবশত কাজ করছে বিজেপি। সেলের প্রধান দফতর কলকাতা থেকে সরানো হলে শ্রমিকদের সমস্যা হবে।’
পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার দাবি, ‘এটা কেন্দ্রের সংস্থা। তারই অধিকার এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তৃণমূল ও রাজ্যের স্বভাবই হয়ে গেছে সবকিছুর সমালোচনা করা।’
এর আগে একাধিক বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত দেখা গিয়েছে। এবার সেলের প্রধান দফতর কলকাতা থেকে সরানো নিয়েও কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্রমশ চড়ছে সুর।