কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কীভাবে ক্লাস শুরু? কীভাবে করোনা বিধি মানতে হবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশ করল শিক্ষা দফতর।
ফিরতে চলেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরনো ছবি। সশরীরে স্কুলে যেতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। পড়ুয়া জীবনে ফিরবে, ক্লাসরুম, ব্ল্যাকবোর্ড। তবে, পুরোটাই করোনা বিধি মেনে। স্কুল ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে স্কুলে আসা এবং স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা অবধি কীভাবে করোনা বিধি মানতে হবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশ করল শিক্ষা দফতর। স্কুলে আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি ক্লাস শুরু হবে। করোনাকালে, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাংলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই স্কুল কলেজ খোলার আগে সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতায়।
কী বলা হয়েছে শিক্ষা দফতরের গাইডলাইনে?
- ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত স্কুল পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিতে হবে।
- পয়লা নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের।
- প্রয়োজনে পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের পাস দেওয়া হবে। তা ইস্যু করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
- হস্টেল খোলা যেতে পারে। তবে, কঠোর ভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি।
- স্কুলের হস্টেলে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে।
- স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াই আংটি, বালা, হার-সহ কোনও গয়না পরতে পারবেন না।
- স্কুলে বসার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধি মানতে হবে। বেঞ্চে দু’জনের বেশি পড়ুয়া বসতে পারবে না।
- একটি বেঞ্চে দু’জন পড়ুয়া বসলে, তার পরের বেঞ্চে একজন পড়ুয়া বসতে পারবে।
- ক্লাসরুমে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রার্থনা হবে।
- স্কুলের করিডর, গেটে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে গোল দাগ কেটে দিতে হবে।
- স্কুলে আপাতত অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবেন না।
- স্কুলে দেওয়া হবে না রান্না করা মিড ডে মিল।
- সেক্ষেত্রে, আগের মতোই বাড়িতে মিড ডে মিলের সরঞ্জাম দিয়ে দেওয়া হবে।
- আপাতত স্কুলে কোনও খেলাধুলো বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
- সব সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন একজন শিক্ষক।
- স্কুলে জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না।
- দেওয়া-নেওয়া করা যাবে না, পানীয় জল বা বই।
পাশপাশি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও আলাদা করে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে,
- নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাফাই ও স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।
- ক্যাম্পাসে সচেতনতামূলক পোস্টার দিতে হবে।
- ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
- বাইরে থেকে কেউ এলে, নাম নথিভুক্ত করে তবেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন।
- নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শিক্ষামূলক ভ্রমণ ও ফিল্ড ওয়ার্ক।
- অতিরিক্ত জেলা শাসকদের নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
- কোভিড বিধি মেনে কীভাবে স্কুল চলবে, সেই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।