শুভেন্দু ভট্টাচার্য, গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্যে এবার নম্বর বাড়াতে আন্দোলনের রোগ? একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর বাড়ানোর দাবিতে পুলিশের সামনেই পরীক্ষার্থীদের ধর্না বীরভূমের মহম্মদবাজারে। কোচবিহারের স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। নবম শ্রেণির মূল্যায়ন নতুন করে করার দাবি। কোচবিহারের স্কুলের নম্বরের রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।


করোনার কারণে রাজ্যে বাতিল হয়েছে এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক। বিকল্প নম্বর বিধিও ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরির জন্য স্কুলগুলিকে নম্বর পাঠাতে বলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর সেই নম্বরই বাড়ানোর দাবি উঠল উত্তর ও দক্ষিণের দুই স্কুলে।


কোচবিহারের মহিষবাথান মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় তাদের যথার্থ মূল্যায়ন হয়নি। খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে প্রধান শিক্ষকের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। ওই স্কুলের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বলে, আমাদের পরীক্ষায় সঠিক ভাবে নম্বর দেওয়া হয়নি। খাতা দেখতে চাইলে তাও দেখাতে পারছে না। বলছে নেই। এই পরিস্থিতিতে কী করব, সঠিক মূল্যায়ন চাইছি। যেহেতু মাধ্যমিকে এই নম্বর যোগ হবে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল মজুমদার বলেন, আমি এব্যাপারে আর কিছু বলতে পারছি না। আর কিছু বলব না আমি।


এই পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কোচবিহারের এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশে দিয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, নবম শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই স্কুলের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে।


মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আগেই জানিয়েছে, ২০২১ সালের মাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি করার জন্য প্রতিটি বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের অৰ্ধেক নেওয়া হবে নবমের বার্ষিক পরীক্ষা থেকে। উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরির ক্ষেত্রে ২০১৯-র মাধ্যমিকের ৪টি বিষয়ের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর থেকে নেওয়া হবে ৪০% ওয়েটেজ।


অন্যদিকে, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর বাড়ানোর দাবিতে বীরভূমের মহম্মদবাজারের ডামড়া হাইস্কুলে শিক্ষকদের তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখায় দ্বাদশের পড়ুয়ারা।পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে, তাদের সামনেই চলতে থাকে ধর্না। পর্ষদ ও সংসদের আশঙ্কা, আগে হয়ে যাওয়া পরীক্ষা নিয়ে এখন যে অভিযোগ উঠছে, খুব দ্রুত তা সংক্রমণের চেহারা নিতে পারে। তাই গোড়া থেকেই কড়া হাতে মোকাবিলায় তৎপর তারা।