রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বৃহস্পতিবার ভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। ট্যাংকারের সঙ্গে সংঘর্ষে ঝুমুর নদীতে উলটে পড়ে যায় মাছ বোঝাই লরি। মৃত্যু হয়েছে লরির খালাসির। রাস্তায় মাছ পড়তেই, শুরু হয় লুঠপাট। এরপর বাকি মাছ উদ্ধার করে সুপারমার্কেটে সংরক্ষণ করেছে পুলিশ।


কথায় বলে, কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস! মঙ্গলবার ভোরে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে  ট্যাংকার ও লরির সংঘর্ষে  পাল্টি খেয়ে নদীতে পড়ে মাছবোঝাই লরি। লরি পাল্টি খেতেই রাস্তা ও নদীতে পড়ে যাওয়া মাছে কপাল খুলে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। সকাল বেলাই রাস্তা, নদীতে মাছ দেখে, রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই চলে মাছ লুঠ।


পুলিশ সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির এশিয়ান হাইওয়েতে পপস্পরের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে একটি ট্যাংকার ও মাছবোঝাই লরির। ঝুমুর ব্রিজ থেকে পাল্টি খেয়ে লরি পড়ে যায় নীচের নদীতে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় লরির খালাসির। গুরুতর আহত হন চালক। 


ধূপগুড়ির প্রত্যক্ষদর্শী রতন পালল বলছেব, ভোর চারটের সময় দুর্ঘটনা হয়। ট্যাংকারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে লরির। মাছের গাড়ি জলে পড়ে যায়। এদিকে রাস্তা ও নদীতে পড়ে যাওয়া মাছ সংগ্রহে রীতিমতো যানজট তৈরি হয় রাস্তায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এরপর পুলিশই পরিস্থিতি সামাল দেয়। বেশ খানিক্ষমের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


এ প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য পরেশ দাস জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কাতলা মাছ নিয়ে লরিটি অসমের দিকে যাচ্ছিল। ধূপগুড়ির ঝুমুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে ক্ষতি হয়েছে। ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মাছ পড়ে যায় রাস্তায়। আমাকে মাছ সংগ্রহ করে সুপারমার্কেটে নিয়ে গিয়ে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। 


ধূপগুড়ির উপ-পুরপ্রধান রাজেশ সিংহ জানিয়েছেন, ' ঘটনায় খালাসির মৃত্যু হয়েছে। লরির চালক আহত। মাছ সংগ্রহ করে সুপারমার্কেটে রাখতে বলা হয়েছে। ওই মাছের নিলাম হবে। বেপরোয়া গতির জন্য দুর্ঘটনা কিনা, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।'