উত্তর দিনাজপুর: পঞ্চাশটা বছর সুখে-দুঃখে একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছিলেন দু’জন। দুই ছেলে থেকেও নেই। অভাব নিত্যসঙ্গী হলেও, লড়াই করেছিলেন বুকচিতিয়ে। কিন্তু, ইদানীং যেন আর পেরে উঠছিলেন না।
স্ত্রী ক্যান্সারের রোগী। স্বামীর শ্বাসজনিত সমস্যা। অবশেষে আত্মহত্যার মতো চরম পথ বেছে নিলেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সত্তরোর্ধ দম্পতি।
প্রতিবেশীদের দাবি, দুই ছেলে থাকলেও বৃদ্ধ মা-বাবাকে কেউই দেখতেন না। কোনওরকমে ভিক্ষে করে জুটত দুবেলা দু’মুঠো খাবার। সম্প্রতি স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়ায় অবসাদে ভুগছিলেন বৃদ্ধ ভাদু পাল।
নিজে হাঁফানির রোগী। ভিক্ষে করে কীভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করাবেন? আক্ষেপ করে বলেওছিলেন প্রতিবেশীদের কাছে। এর মাঝেই শনিবার বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভাদু পাল, শ্যামলী পালের মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা আজও সন্তানের সংসারে ব্রাত্য। অনেকেই ভুগছেন দুরারোগ্য ব্যধিতে। কিন্তু, জীবনের পঞ্চাশটা বছর যাঁরা কাঁধে কাঁধ রেখে বুক চিতিয়ে লড়লেন। তাঁরা যে এভাবে হেরে যাবেন, তা ভাবলেও অবাক লাগছে প্রতিবেশীদের কাছে।