শালবনি ও কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে পথ দুর্ঘটনায় ২ স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশকে মারধর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আটক বেশ কয়েকজন। তল্লাশির নামে পুলিশের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ গ্রামবাসীদের। দুর্ঘটনার পর শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহাকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে শালবনির ভাদুতলা, কুতুড়িয়া, ডাঙরপাড়া গ্রামে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চলে কোতয়ালি থানা এলাকার কেরানিচটি, বারওয়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জোর করে দরজা ভেঙে পুলিশ বাড়িতে ঢোকে। আসবাবপত্র তছনছ করে। মহিলাদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, যাওয়ার সময় পুলিশ ২ রাউন্ড গুলি চালায়। মারধরে জখম আইসি বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি।


এদিকে, অটো-লরি সংঘর্ষে আহত চার পড়ুয়া কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। এদের মধ্যে ২ জন ভর্তি রয়েছে আইসিইউ-তে। পরিবারের দাবি, লক্ষ্মী মুর্মু ও বিকাশ হেমব্রম নামে ওই দুই পড়ুয়া এখনও সংজ্ঞাহীন। বাকি ২ পড়ুয়া জেনারেল বেডে ভর্তি রয়েছে। আহত আরেক পড়ুয়া রনি বেরাকে এনআরএস হাসপাতাল থেকে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত অটোচালক, লরিচালক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।