শুভেন্দু  ভট্টাচার্য, শীতলকুচি: কোচবিহারের শীতলকুচি থানা চত্বরে উদ্ধার হল হোমগার্ডের ঝুলন্ত দেহ। আজ সকালে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় নৃপেন বর্মনের দেহ মেলে। শীতলকুচি থানায় কর্মরত ছিলেন বছর পঞ্চাশের ওই হোমগার্ড। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে অনুমান পুলিশের। কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


এই একই দিনে বনগাঁ থানার কাছেই ইছামতী থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দার নজরে আসে। পরে বনগাঁ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


চলতি মাসেই বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। ১১ অগাস্ট সাত সকালে সাত সকালে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানা এলাকার পানুয়া-ডোমপাড়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম শেখ মনিরুল (৩৬)। বাড়ি জয়পুর থানার দৌলতচক গ্রামে। এই ঘটনায় কিছুটা হতবাকও এলাকাবাসী। 


স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার রাতে কোতুলপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার টুবাই চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে জয়পুরের দৌলতচক গ্রামের শেখ মনিরুলের টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। আর এই ঘটনার জেরেই মদ খাইয়ে ঐ সিভিক ভলান্টিয়ার ছুরি দিয়ে শেখ মনিরুলকে খুন করেছে বলে অনুমান গ্রামবাসীদের। এই ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। 



৩ অগাস্ট  বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিন মাঠের মাঝে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক বিজেপি কর্মীর দেহ। এই ঘটনা নিয়েই চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এগরার ১ নম্বর ব্লকের কসবা অঞ্চলের হরিচক এলাকার বাসিন্দা বছর পয়তাল্লিশের তপন খাটুয়ার দেহ ভাসতে দেখা যায় গ্রামের পাশেই একটি মাঠের মাঝখানের পুকুরে। এ দিন সকালে মাঠে কাজ করতে যাবার সময় দেহটি নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। এরপরেই খবর দেওয়া হয় এগরা থানার পুলিশকে। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গেই আসে পুলিশ। এরপর পুকুর থেকে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানায় পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ কেউ বা কারা তাদের পরিবারের সদস্যকে খুন করে পুকুরে ফেলে রেখে গিয়েছে।