সনৎ ঝা, মলয় চক্রবর্তী ও রাজা চট্টোপাধ্যায়: বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা আদালতের বিচারক ও নিলাম অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। শিলিগুড়ির তিন বাসিন্দার কাছ থেকে ৯১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। কিষাণগঞ্জ থেকে মূল অভিযুক্ত ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। আনা হয়েছে ট্রানজিট রিমান্ডে।
কখনও ভুয়ো আইপিএস। কখনও ভুয়ো সিবিআই-কৌঁসুলি পরিচয় দিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। কখনও আবার ‘ভুয়ো’ ডিএসপি। প্রতারণার একের পর এক অভিযোগ। সর্বস্বান্ত মানুষ। এবার বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা আদালতের বিচারক ও নিলাম অফিসার পরিচয় দেওয়া এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা আদালতের বিচারক এবং নিলাম অফিসার পরিচয় দিয়ে তিনজনের কাছ থেকে ৯১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ৮৪টি গাড়ি ও বস্তা বস্তা গম নিলামে পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ।
কিষাণগঞ্জ থেকেই বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্ত সমীর কুমার দুবে ও তাঁর সহযোগী সায়েক আলমকে। দু’জনকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হয়েছে শিলিগুড়িতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তি সমীরকুমার দুবের নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তের দায়িত্ব নেয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে আসে শিলিগুড়ির বাসিন্দা মোট ৩ জনকে ৯১ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিডি, এসিপি, রাজেন ছেত্রী, ৯১ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে। ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতদের আনা হয়েছে। বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে কীভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এ রাজ্যে? নিলামে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে আরও কাউকে কি প্রতারণা করা হয়েছিল? ধৃতদের সঙ্গে গাড়ি পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কি না, এ সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।